শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স-সহ ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং টেকনিশিয়ানরাও। বাইপাসের ধারের ওই হাসপাতালের মোট ৬ জনের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পজিটিভ এসেছে। আর সেই রিপোর্ট আসতেই ওই হাসপাতালের আরও ১৫ জনকে যেতে হয়েছে কোয়রান্টিনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালের বাকি চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা উদ্বেগে রয়েছেন।
ওই হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আক্রান্তরা কেউ কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে কাজ করেননি। কী ভাবে তাঁরা আক্রান্ত হলেন, ওই হাসপাতালেই কোনও ভাবে সক্রমিত হয়েছেন, নাকি অন্য কোথাও তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন নয়াবাদের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়। এগরায় একটি বিয়েবাড়ির সূত্রে সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। পরে নয়াবাদের ওই বৃদ্ধ মারা গিয়েছিলেন। ওই বিয়েবাড়ির সূত্রে আরও কয়েক জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই মূহূর্তে ওই হাসপাতালে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। আলাদা ভাবে তাঁদের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরাই পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) কিট পরে কাজ করছেন। এত সাবধানতা নেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে, ওই হাসপাতালেরই কর্মীরাই আক্রান্ত হলেন, তা ভাবাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: মুদিখানার বাজার করতে গিয়ে বউ নিয়ে এল ছেলে, মানতে চাইছেন না মা
আক্রান্তদের আপাতত ওই হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছে। তবে কারও অবস্থা সঙ্কটজনক নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ওই বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও আরও কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হওয়ার পথে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে স্ত্রীর সঙ্গে পোশাক বদলের ছবি পোস্ট করলেন ওয়ার্নার
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)