ফাইল ছবি
করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ালেও মেলা সংগঠনে বেশ কিছু ছাড় দিয়েচ্ছে নবান্ন। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে কড়া কোভিডবিধি মেনে মেলা করা যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের এই ঘোষণায় বইমেলা হওয়া নিয়ে সংশয় অনেকটাই কেটেছে।
নবান্নের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ এখনও ভাল করে দেখিনি। খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা যাবে। তবে বইমেলা হচ্ছে।’’ পূর্বনির্ধারিত ৩১ জানুয়ারি মেলা শুরু হবে কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সরকারের এই নির্দেশ শুনে আশায় বুক বাঁধলেও বিক্রি কতটা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে ছোট প্রকাশকরা। কলেজস্ট্রিটের একটি ছোট প্রকাশনী সংস্থার কর্ণধার বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে কত মানুষ মেলায় আসবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ফলে মেলায় অংশগ্রহণ করতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে তা কী আদৌ তোলা সম্ভব হবে। ’’ এছাড়া শেষ ট্রেন ছাড়ছে দশটায়। ফলে দূর থেকেও মেলায় তাঁদের বাড়ি ফিরতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।’’
এ নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন অন্য এক পুস্তক প্রকাশক। তাঁর কথায় এই পরিস্থিতিতে মেলা হওয়াই একটি ‘পজিটিভ’ উদ্যোগ। কারণ ২০২০-এ শেষ বার বইমেলা হয়েছিল। তার পর থেকে কোভিড পরিস্থিতিতে বইয়ের বিক্রিবাটাও শুধুমাত্র অনলাইনে। তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় যদি কিছু মানুষ মেলায় আসেন তবে তাঁর বুঝতে পারবেন আমরা এখন টিকে আছি।’’ তাছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে নতুন বই প্রকাশও করা হয়। তাই বইমেলা হবে ধরে নিয়ে এগিয়েছেন কিছু প্রকাশক। মেলার না হলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy