রাস্তায় দাঁড়িয়ে মদ্যপান করছিলেন কয়েক জন যুবক-যুবতী। তারই প্রতিবাদ করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তার পরেই মত্ত ওই যুবক-যুবতীরা চড়াও হন ওই ব্যক্তির উপর। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বেলঘরিয়ার নন্দননগর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবাদী ওই ব্যক্তির নাম নিরুপম পাল। তিনি পেশায় অঙ্কন শিক্ষক। এলাকাটি কামারহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।
অভিযোগ মোতাবেক, শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণবাড়ি থেকে নন্দনপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন নিরুপম। রাস্তার ধারে চার জন যুবক এবং এক যুবতীকে মদ্যপান করতে দেখেন তিনি। এর প্রতিবাদ করেন। তার পরেই পাঁচ জন মিলে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষকের বক্তব্য, মেরে তাঁর নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। চোখে এবং বুকেও আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা না-বাঁচালে রাস্তাতেই তিনি মারা যেতেন বলে জানিয়েছেন নিরুপম।
মারধরের এই ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করছেন কয়েক জন যুবক। কিল-ঘুসির পাশাপাশি লাথিও মারা হচ্ছে তাঁকে। হাত দিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করছেন প্রতিবাদী ওই শিক্ষক। এক যুবতীকেও মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। তবে সিসি ক্যামেরার এই ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য বেলঘরিয়া থানার পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই শিক্ষক।
নিরুপম বলেন, “রাতে কালীপুজোর নিমন্ত্রণ ছিল। ভোরে সেখান থেকেই বাড়ি ফিরছিলাম। দেখলাম রাস্তার ধারে কয়েক জন যুবক আর যুবতী মদ্যপান করছে। তাদের বললাম, সকাল হয়ে গিয়েছে, তোমরা এ সব কী করছ? তার পরেই ‘তুই বলার কে’ বলে ওরা আমার দিকে তেড়ে এল। আমায় মারধর করা শুরু করল। স্থানীয়রা না-বাঁচালে মরেই যেতাম।” ওই শিক্ষকের আশঙ্কা ভবিষ্যতেও তাঁকে অভিযুক্তেরা মারধর করতে পারেন। তাই পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের এক জনের কথায়, “আমাদের এলাকায় আগে এ সব হত না। যা মনে হচ্ছে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বহিরাগত। আজ এক জন শিক্ষককে মার খেতে হল। তা হলে সাধারণ মানুষদের কী হবে? পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর পদক্ষেপ করুক।”