কীটনাশক ছড়ানোর জন্য নতুন প্রযুক্তির ড্রোন। —নিজস্ব চিত্র।
ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে কীটনাশক ছড়ানো সম্ভব। পোশাকি নাম কিসান ড্রোন। বাংলায় এই ধরনের ড্রোনের ব্যবহার আগে সে ভাবে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, এই ড্রোনের মাধ্যমে ধান, পাট, সব্জি ক্ষেত কিংবা আম গাছে কীটনাশক সহজেই ছড়ানো যাবে। শিবপুর বিই কলেজের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের তিন ছাত্র মিলে ড্রোনটি তৈরি করেছেন। তবে প্রধান উদ্যোক্তা পোলবার রাজহাট ভাটুয়ার বাসিন্দা কৃশানু সিংহ।
কৃশানু শিবপুর থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। তাঁদের চাষের জমি রয়েছে। জমিতে চাষ করার সময় জমিতে কীটনাশক ছড়াতে শ্রমিকের পাশাপাশি সময়ও লাগে। ফলে খরচও হয় বেশি। এ ছাড়া নানা সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা দূর করতে কিসান ড্রোন তৈরির ভাবনা আসে কৃশানুর। তাঁর দুই বন্ধু ঝাড়খণ্ডের মায়ঙ্ক রাজবংশ এবং ওড়িশার দীপক সোয়াইনকে নিয়ে তৈরি করেন নতুন ধরনের ড্রোন। তিন জনেই শিবপুর বিই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। অন্য রাজ্যেও এমন ড্রোনের ব্যবহার লক্ষ করা গিয়েছে। তবে কৃশানুদের তৈরি করা ড্রোন অনেক বেশি আধুনিক। ব্যাটারিচালিত এই ড্রোনটি সাত মিনিটে তিন একর জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে সক্ষম। শুধু কৃষিকাজ নয়, এই ড্রোনের মাধ্যমে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের খাবার, খোল ছড়ানো যাবে।
কৃশানু জানাচ্ছেন, ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এমন ড্রোন বিদেশ থেকে কিনতে প্রায় দশ লাখ টাকা খরচ হয়। আর কিসান ড্রোন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় মিলবে। কৃশানু বলেন, ‘‘অনেক সময় গাছ বড় হলে তার সব জায়গায় ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। কিসান ড্রোন যখন ওষুধ স্প্রে করবে তখন গাছের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি, ছবিও তুলতে পারবে এই ড্রোন।’’
আর মায়ঙ্কের কথায়, ‘‘ড্রোনের ব্যবহার যাতে সহজেই করতে পারেন কৃষকরা তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকার কিসান ড্রোন কেনায় ছাড় দিচ্ছে। তাই সহজে কৃষকরা এই ড্রোন কিনতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy