সুরক্ষা: গোলমালের পরে ডিএসপি-র অফিসে মোতায়েন সিআইএসএফ। —নিজস্ব চিত্র।
ফের শিল্পসংস্থায় আধিকারিককে নিগ্রহের অভিযোগ দুর্গাপুরে। অভিযোগের তির ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে।
পাইপ ফাটায় শনিবার থেকে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) টাউনশিপে। ওই সমস্যা নিয়ে রবিবার দুপুরে সিটু, আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি-কে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। সেখানে ঢুকে তাণ্ডব এবং ডিএসপি-র কর্তাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে।
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বৈঠক চলছিল নগর প্রশাসনিক ভবনে। তিন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছাড়াও হাজির ছিলেন ডিএসপি-র জিএম (টাউন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) গৌতম সাহা, এজিএম অমিতাভ রায়-সহ অন্য আধিকারিকেরা। অভিযোগ, হঠাৎ জয়ন্ত রক্ষিত, কমলজিৎ সিংহ, সঞ্জয়কুমার বর্ধন, পল্লব মুখোপাধ্যায়-সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ঘরে ঢুকে পড়েন। শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বের করে দিয়ে টেবিল থেকে কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয় বলে পুলিশকে জানান গৌতমবাবু। তাঁকে ডিএসপি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার খবর পেয়েই সিআইএসএফ চলে আসে। আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশও। তবে তার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক চিন্ময় সমাজদার বলেন, ‘‘এই ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বৈঠকে থাকা আধিকারিকেরা। আমরা বিহিত চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’’
অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই ডিএসপি-তে কাজ করেন। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবেও পরিচিত। শিল্পশহরে এর আগেও কারখানার আধিকারিকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাতেই হামলার ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে শাসকদলের নেতৃত্ব। পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চরম লজ্জাজনক ঘটনা। উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হবে।’’
ডিএসপি-তে সিটুর যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ দত্তের দাবি, ২০১৬ সালের ২৪ মে সংস্থার ভিতরে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছিল তৎকালীন আইএনটিটিইউসি সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত ও তাঁর সঙ্গীরা। সৌরভবাবু বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ তখনই কড়া ব্যবস্থা নিলে এ দিনের পরিস্থিতি আর তৈরি হত না।’’ সৌরভবাবুর উপরে হামলার কিছুদিন পরেই অবশ্য জয়ন্তবাবুকে আইএনটিটিইউসি থেকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যও নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy