Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Murder

Woman’s murder: হলদিয়ায় গৃহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ, গ্রেফতার প্রেমিক

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে গলা কেটে খুনের অভিযোগে পুলিশ প্রেমিক সঞ্জয় মান্নাকে গ্রেফতার করেছে।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৯
Share: Save:

হলদিয়ায় গৃহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হওয়ার সপ্তাহ ঘোরার আগেই হত্যা রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার গলা কেটে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর প্রেমিককে।

গত ২০ এপ্রিল, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাঁশখানা জালপাই এলাকায় টুম্পা ঘোষ নামে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলা ভগবানপুর থানার কোটলাউড়ির বাসিন্দা। বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এই ঘটনার মূলচক্রী পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার খরিকার বাসিন্দা সঞ্জয় মান্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে, বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বুধবার ভবানীপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠকে হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, “ধৃতকে জেরা করে জানতে পেরেছি, ঘটনার পিছনে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েন। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন টুম্পা। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন, আগে দু’টি বিয়ে করেছেন সঞ্জয়।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সাতেক আগে বিয়ে করা প্রথম পক্ষের স্ত্রী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার মামলা রুজু করেন। সেই মামলা এখনও চলছে। প্রথম পক্ষের দুই ছেলে সঞ্জয়ের। বছরখানেক আগে আবার বিয়ে করেন তিনি। সম্প্রতি তৃতীয় বার বিয়ে করার জন্য টুম্পার উপর চাপ দিচ্ছিলেন সঞ্জয়। টুম্পা রাজি না হওয়ায় খুনের ঘটনা।
এসডিপিও বলেন, “ঘটনার দিন টুম্পাকে নিয়ে বাইকে বাজকুলে বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন সঞ্জয়। পথে দু’জনের মধ্যে বিয়ে করা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। রাগের মাথায় ছুরি দিয়ে টুম্পার উপর এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন সঞ্জয়। সেখানেই টুম্পার মৃত্যু হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder love Love Affair
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE