আধার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইউআইডিএআই)-সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে মৃত ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। সেই সব তথ্য এসে গেলে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ইআরও) মাধ্যমে তা মিলিয়ে নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বিএলও-দের অ্যাপ বেশিরভাগ সময় কার্যকর ছিল না। তাতে ফর্ম আপলোড করতে বেগ পেতে হয় বিএলওদের। যদিও কমিশন জানিয়েছে, অ্যাপ আপডেট হওয়ার কারণে এই সমস্যা এ দিন হয়েছে। যা দ্রুত কেটে যাবে।
পুরসভা, পঞ্চায়েত, শ্মশান, সমাধিস্থল, হাসপাতাল ছাড়াও আধার, রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক-ডাকঘর, এলআইসি-র থেকে মৃত ব্যক্তিদের তথ্য নিচ্ছে কমিশন। তা দিতে একটি অভিন্ন তথ্যভান্ডার তৈরি হচ্ছে বলে খবর। সেটাই পাঠিয়ে দেওয়া হবে মহকুমা স্তরে। ভোটার যাচাইয়ের প্রশ্নে ইআরও-রা দায়িত্বপ্রাপ্ত। চূড়ান্ত পর্বে তাঁদের হাত ধরেই ভোটারের নাম ঢুকবে বা বাদ যাবে। বিএলও-রা যে ফর্ম জমা করছেন, তা-ই মৃতদের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে পুনরায় মিলিয়ে দেখতে বলা হবে বলে খবর। সেই পদ্ধতিতে কোনও মৃত ব্যক্তির ফর্মও রয়েছে কি না, তা দেখার কথা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। তেমন কোনও নাম থেকে গেলে বিধি মতো সেই ব্যক্তির নামে শুনানির নোটিসও যেতে পারে। আধিকারিকদের একাংশের মতে এতেই স্পষ্ট হবে, ফর্মটি বৈধ কি না।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ জেলাতেই ফর্ম ডিজিটাইজ় করার অগ্রগতি ভাল। কলকাতায় সেই কাজ তুলনায় কিছুটা মন্থর। তাতে এখনও পর্যন্ত উত্তর কলকাতায় ৫৮% এবং দক্ষিণ কলকাতায় ৬৪% কাজ হয়েছে। সে দিক থেকে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে। সার্বিক ভাবে বৃহস্পতিবার প্রায় তিন শতাংশ বেড়েছে ফর্ম ডিজিটাইজ় হওয়ার হার। এ দিন সেই হার প্রায় ৮৩%। বিকেল ৩টে পর্যন্ত সংখ্যার দিক থেকে তা ৬.৩৫ কোটির কিছু বেশি। বুধবার ৯৯.৭৮% ফর্ম বিলির হার ছিল। এ দিন তা হয়েছে ৯৯.৮০%। কমিশন জানিয়েছে, এ দিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও পুরুলিয়ায় ইভিএমের প্রথম দফায় যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে সব রাজনৈতিক দলকে তথ্য দিয়েই। বুধবার কমিশন বলেছিল, ২০০২ সালের এসআইআর তালিকার সঙ্গে প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষের মিল পাওয়া যায়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)