অর্পিতা এবং পার্থ। —ফাইল চিত্র।
তাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা জুটি। তবে ঠিক কত বার অথবা কবে, সেই সফরের কথা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিট পেশ করে ইডি। মঙ্গলবার সেই চার্জশিট আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে আসার পরে দেখা যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তদন্তে উঠে আসা অনেক অপ্রকাশিত কথারই উল্লেখ সেখানে করেছে ইডি। চার্জশিটে বিভিন্ন তথ্যের কথা উল্লখ করতে গিয়ে এক ব্যক্তির নামও জানিয়েছে ইডি। বলা হয়েছে, স্নেহময় দত্ত নামে এক ব্যক্তির কথার সূত্রেই পার্থ-অর্পিতার তাইল্যান্ড ও গোয়া সফরের কথা জানা গিয়েছে। ইডির দাবি অনুযায়ী, ওই সব সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময়ও। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা নিয়েও ইডি খোঁজখবর চালাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে জেরায় পার্থ এটা জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি নেই তাইল্যান্ডে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই পার্থের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। সেই সময় দক্ষিণ কলকাতায় পার্থ-‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার একটি ফ্ল্যাটেও যায় ইডি। তল্লাশিও চালায়। সেখানে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও গয়না উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও মেলে বলে দাবি করে ইডি। তার উল্লেখও রয়েছে চার্জশিটে। সেখানেই রয়েছে যে, অর্পিতার হেফাজত থেকে তাইল্যান্ডের মুদ্রা পাওয়া যায়। এ বার ইডির দাবি যে, বয়ানে স্নেহময় জানিয়েছেন, ২০১৪ বা ২০১৫ সালে তিনি একবার পার্থের সঙ্গে তাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন অর্পিতাও। সেই সময় ‘তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশন’-এর আমন্ত্রণে ফুকেত শহরে যান পার্থ। সঙ্গী হন স্নেহময় ও অর্পিতা। সেই সফরের যাবতীয় খরচ পার্থই বহন করেন বলেও স্নেহময় জানিয়েছেন। এমনটাই দাবি ইডির।
শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও স্নেহময় জানিয়েছেন বলে দাবি ইডির। স্নেহময়ের সঙ্গে কী ভাবে অর্পিতার পরিচয়, তা-ও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। স্নেহময়ের বয়ান উল্লেখ করে ইডির দাবি, পার্থই ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার কর্মী হিসাবে ‘বস’ অর্পিতাকে রিপোর্ট করতে হবে বলেও পার্থ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ইডিকে জানিয়েছেন স্নেহময়। প্রসঙ্গত, ‘সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নাম ইডির চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে।
ওই চার্জশিটেই আরও অনেক তথ্যের মাধ্যমে পার্থের সঙ্গে অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠতা’ প্রমাণ করার বিভিন্ন তথ্য পেশ করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিদেশ সফরে সঙ্গী হওয়া সেই ‘ঘনিষ্ঠতা’র অন্যতম প্রমাণ। এ ছাড়াও অর্পিতার জীবনবিমার ‘নমিনি’ হিসাবে পার্থের নাম থাকাকেও ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ বলে মনে করছে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy