E-Paper

ভোটে খরচ হওয়া টাকা কি এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে? ইডির তদন্তে উঠে আসতে পারে নতুন তথ্য

শিক্ষা এবং পুরসভায় নিয়োগের বিনিময়ে এবং নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতা-নেত্রী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৮:১৬

—প্রতীকী ছবি।

তদন্তের গতিমুখ এ বার কি নতুন দিকে?

শিক্ষা এবং পুরসভায় নিয়োগের বিনিময়ে এবং নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতা-নেত্রী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। তার সুলুক সন্ধানে নেমে এত দিন খুঁজে বার করা হচ্ছিল, কোন ব্যক্তি বাজার থেকে তোলা টাকার কত অংশ পেয়েছেন। ইডি সূত্রে এখন দাবি, সেই টাকার একটি অংশ রাজনৈতিক কার্যকলাপেও খরচ করা হয়েছে। আর সেই খরচ হয়েছে নগদে। প্রশ্ন উঠেছে, এ বার কি শাসক দলের আরও উচ্চ পদাধিকারী আতশকাচের তলায় চলে এলেন।

চাকরির টোপ দিয়ে বেআইনি ভাবে যে টাকা বাজার থেকে তোলা হয়েছে, সেই টাকা কোথায় খরচ হয়েছে (মানি ট্রেল), ইডির তদন্ত মূলত তা ঘিরেই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজার থেকে তোলা টাকা যে রাজনৈতিক দলের প্রচারে খরচ করা হয়েছে, তার নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের দুই যুব নেতা (পরে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। অভিযোগের তির মূলত কুন্তলের দিকেই। তদন্তকারীদের দাবি, চাকরির টোপ দিয়ে বাজার থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছিলেন কুন্তল। জেরায় তিনিই নাকি দাবি করেছেন, তার মধ্যে ধাপে ধাপে ১০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ইডি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত কুন্তল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত ও সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। বাকি প্রায় ১৬ কোটি টাকার হদিস পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং পরবর্তীকালে ত্রিপুরার নির্বাচনে কুন্তল মারফত নগদ টাকা খরচ হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে এ-ও দাবি, ত্রিপুরার নির্বাচনে কলকাতার বাসিন্দা এক ঝাঁক যুব নেতা-নেত্রী সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যাঁদের বেশিরভাগই কুন্তল-ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, শুধু রাজনৈতিক কার্যকলাপ নয়, ওই নেতা-নেত্রীদের থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের খরচও নগদ টাকায় মেটানো হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা কয়েক জন যুব নেতা-নেত্রীর বিভিন্ন সম্পত্তি ও ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে ইডির দাবি।

এখন, কয়েক জন যুব নেতা-নেত্রীর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির হদিস পেতে তাঁদের ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি।

যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়ে ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার তলব করা হলেও তিনি যাননি, ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে, পাঠিয়েছেন কিছু নথিপত্র। ইডি সূত্রে খবর, সায়নীর জবাবে তদন্তকারী সংস্থা সন্তুষ্ট নয়, যদিও অভিনেত্রী-নেত্রী প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Enforcement Directorate Recruitment Scam Politics

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy