Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Kalighater Kaku

‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল ফরেন্সিকে, পাঁচ রেকর্ডিং ক্লিপিংও কেন সেন্ট্রাল ল্যাবে পাঠাল ইডি?

তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বার বার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল তারা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৩
Share: Save:

‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাঠানো হল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। সঙ্গে পাঠানো হল পাঁচটি রেকর্ডিং ক্লিপিংও। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই রেকর্ডিং ক্লিপিংগুলি পাঠানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।

প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন ‘কাকু’। তিনি ‘গুরুতর’ অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএম তাঁকে ছুটি দিতে পারছে না। এমনকি, জোকার ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারেরা আপত্তি করেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ। সম্প্রতি বিচারপতি সিংহ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন, সে দিন রাতের মধ্যেই ‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে হবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি। তার পরে সেই রাতেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বার বার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করে তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘কাকু’, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্ত ও সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট, সাধারণ মেসেজ এবং ভয়েস কল রেকর্ডিং উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, এ ছাড়াও ‘কাকু’র সঙ্গে অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’ কয়েক জনের কথাবার্তার ভয়েস কল রেকর্ডিংও পাওয়া গিয়েছিল। যা আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই রাহুলের গলার স্বরের নমুনা নিয়ে তা ফরেন্সিক পরীক্ষা করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। কাকুর গলার স্বরের ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে আসার পরে জ্ঞানানন্দের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। এর পরে দু’জনের গলার স্বর মিলিয়ে দেখা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sujay Krishna Bhadra ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE