—প্রতীকী ছবি।
সিআইডির ডাকে ভবানীভবনে নয়, আদালতে যাবে তারা, রবিবার এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
শেখ শাহজাহান এখন রয়েছেন ভবানীভবনে, সিআইডির হেফাজতে। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির যে অফিসার প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রবিবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি।
যদিও ইডি সূত্রের খবর, তারা সিআইডির ডাকে হাজির হতে চায় না। তাদের দাবি, উচ্চ আদালতে ওই মামলা বিচারাধীন। তা ছাড়া ইডির অভিযোগের পরে যে এফআইআর হয়েছে, তার ভিত্তিতে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই এফআইআর-এর উপরে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
ইডির এক কর্তার কথায়, উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় পুলিশের তদন্তকারী অফিসার একপ্রস্থ ইডির অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ফের সিআইডি তলব করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই মামলা বিচারাধীন থাকায় বয়ান রেকর্ডের জন্য ইডির সেই ডেপুটি ডিরেক্টর রবিবার হাজির হননি। ঘটনার সাক্ষ্য প্রমাণ-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তাঁকে আসতে বলা হয়েছিল বলে সিআইডি জানিয়েছিল। সেই নথিও ইডির তরফে কেউ সিআইডিতে জমা দেননি বলে সূত্রের খবর। একটি সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার তাঁকে আসার জন্য ফের নোটিস পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, এ নিয়ে আদালতে তারা তাদের বক্তব্য পেশ করবে।
অভিযোগ, গত ৫ জানুয়ারি, রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে ইডির একটি দল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা (এখন বহিষ্কৃত) শাহজাহানের বাড়িতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার বদলে তাঁদের উপরে হামলা চালানো হয়। যার নেপথ্যে শাহজাহানই ছিলেন বলে ইডি সূত্রের দাবি। ওই ঘটনায় তিন জন ইডি অফিসার-সহ সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা জখম হন। ন্যাজাট থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন ইডির ওই ডেপুটি ডিরেক্টর।
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন কাদের সঙ্গে শাহজাহানের কথা হয়েছিল বা কাদের মদতে শাহজাহান লুকিয়ে ছিলেন, তা জানতে তাঁর দু’টি মোবাইলের কল ডিটেলস বড় হাতিয়ার হতে চলেছে সিআইডির। একটি সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে যাঁরা শাহজাহানকে পালাতে বা ওই দিন হামলা চালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ৫৫ দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পরে গত বুধবার রাতে মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তার পরেই ন্যাজাট থানার ওই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। বসিরহাট আদালত শাহজাহানকে দশ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভবানীভবনে। সেখানেই পাঁচ তলায় তাঁকে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy