Advertisement
E-Paper

সময় চান উপাচার্যেরা, মান বাড়াতে চাই পছন্দের মিশ্র পাঠই

সিবিসিএস চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব বিশ্ববিদ্যালয়কে বারবার নির্দেশ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সব বিশ্ববিদ্যলয়কে এই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৯
বর্ষপূর্তি: হেয়ার স্কুলের দু’শো বছর পূর্তিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষপূর্তি: হেয়ার স্কুলের দু’শো বছর পূর্তিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের সব কলেজের মান এক নয়। তাই ছাত্রছাত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন নির্দিষ্ট কিছু নামী কলেজেই। সেই জন্য সব কলেজেরই মান বাড়ানোর দিকে উপাচার্যদের নজর দিতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এই অবস্থায় উপাচার্যেরা মনে করছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং সেই সঙ্গে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) চালু হলে কলেজগুলির মান বাড়ানো সম্ভব। তবে তা বেশ কিছুটা সময়সাপেক্ষ।

‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ মানে পছন্দসই মিশ্র পাঠ। এই ব্যবস্থায় কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ইত্যাদি শাখা বিভাজনের গণ্ডি ছাপিয়ে যে-কেউ মূল বিষয়ের সঙ্গে পছন্দের অন্য যে-কোনও বিষয় পড়তে পারেন। সাহিত্যের সঙ্গী হতে পারে রসায়ন বা চারুকলা। গণিতের হাত ধরতে বাধা নেই সঙ্গীতের। পছন্দের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিষয়টি যদি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো না-ও হয়, একই সঙ্গে অন্যত্র তা পড়া যাবে। অর্থাৎ বিষয় বাছাই করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে পড়ুয়াদের।

সিবিসিএস চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব বিশ্ববিদ্যালয়কে বারবার নির্দেশ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সব বিশ্ববিদ্যলয়কে এই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদ্ধতি পঠনপাঠন সেমেস্টার পদ্ধতিতে হয়।

রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই আংশিক ভাবে অথবা পুরোপুরি এই পদ্ধতি চালু করে দিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোপুরি এই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কথামতো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিকে সম মানে টেনে তোলার উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উপাচার্য নিমাই সাহা জানান, সিবিসিএস পদ্ধতিতে অবশ্যই পঠনপাঠনের মান উন্নত হবে। কারণ, প্রতিটি সেমেস্টারে পাঠ্যক্রম পুরো শেষ করতেই হবে। তাই শিক্ষকদের যেমন নিয়মিত ক্লাস নিতে হবে, ক্লাস করতে হবে পড়ুয়াদেরও। এতে পরীক্ষার ফল ভাল হবেই।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পছন্দসই মিশ্র পাঠ চালু করাটা সময়সাপেক্ষ। তবে অসম্ভব নয়।’’ তিনি সিবিসিএস চালু করলে সুফল মিলবে বলে মনে করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে সিবিসিএস চালু হয়ে গিয়েছে। তা চালু হয়েছে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগেও। রঞ্জনবাবু জানান, কলেজের মানোন্নয়নে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা নাক-ও বারবার সেমেস্টার পদ্ধতি চালুর কথা বলছে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সিদো-কানহু বিশ্ববিদ্যালয় সব বিভাগে সিবিসিএস চালু করেছে। উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডলের মতে, এই পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি প্রতিটি কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাও থাকা দরকার।।

শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সিবিসিএস চালু করার কথা বলেছেন। কিন্তু ওই বৈঠকে উপস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে সব স্তরে সিবিসিএস চালু করা সম্ভব হবে না। সোনালিদেবী এ দিন অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা সব কলেজের মানোন্নয়নে সচেষ্ট হবো।’’

Partha Chatterjee Education Minister Choice Based Credit System পার্থ চট্টোপাধ্যায় College Vice Chancellor UGC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy