দুর্গাপুজোর পর এক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও রাজ্যের দেওয়া পুজো অনুদানের এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা পায়নি আটটি পুজো কমিটি! এমনই অভিযোগ উঠল মালদহে।
হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডীর আটটি ক্লাবের দাবি, অনুদানের টাকা না-মেলায় তারা বিপাকে পড়েছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে মণ্ডপ, প্রতিমা-সহ অন্যান্য খরচের টাকা মেটাতে গিয়ে। ব্যাঙ্কে চেক ভাঙাতে গেলেই তা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, কেটে নেওয়া হচ্ছে ক্লিয়ারেন্স চার্জও। কিন্তু অ্যাকাউন্টে অনুদানের টাকা ঢুকছে না।
হবিবপুর ব্লকে ১০৯টি পুজো হয়। তাদের মধ্যেই আটটি পুজো কমিটি এখনও টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। একটি ক্লাবের কর্তা প্রীতিরঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘খুব সমস্যায় পড়েছি। পাওনাদারেরা রোজ আসছেন। টাকা চাইছেন। কিন্তু আমাদের হাতে টাকা না-এলে আমরা দেব কী ভাবে? আমরা তো আর চাঁদা তুলি না। তাই টাকা মেটাতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি। ব্যাঙ্কের লোকেরা সঠিক ভাবে কিছু বলতে পারছেন না।’’
যদিও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্কের কাজে কিছু সমস্যা হয়েছে। সেই কারণে টাকা আটকে রয়েছে। তবে দ্রুতই সেই টাকা পুজো কমিটির অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশের ওই সূত্র।
বিজেপির উত্তর মালদহের সাধারণ সম্পাদক বীণা কীর্তনীয়া বলেন, ‘‘বাংলার জনগণকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিনিমিনি খেলছেন। শুধু তৃণমূল পরিচালিত ক্লাবগুলিকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে।’’
পাল্টা মালদহে তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, ‘‘আমরা দলীয় স্তরে খবর পেয়েছি, এ বিষয়ে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা ছিল। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। পুজোর টাকা যাতে ক্লাবগুলি পায়, সেই চেষ্টা চলছে। এ সব নিয়ে বিজেপিকে ভাবতে হবে না।’’