Advertisement
E-Paper

একবালপুরে তল্লাশি, বাধার মুখে এনআইএ

মাস তিনেক আগে একবালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি ছড়ানো, বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনায় নাগাড়ে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৫
মাস তিনেক আগে একবালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।

মাস তিনেক আগে একবালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। প্রতীকী ছবি।

একবালপুরে অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের বাড়িতে বুধবার তল্লাশি চালাতে গিয়ে বারে বারেই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র সদস্যদের। শেষ পর্যন্ত ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশি পর্বে কমবেশি ৩৫ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু ‘আপত্তিকর’ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ।

মাস তিনেক আগে একবালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি ছড়ানো, বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনায় নাগাড়ে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা এখন এনআইএ-র হেফাজতে আছেন। তার মধ্যেই এনআইএ ফের এ দিন সেখানে হানা দেয়। সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এনআইএ জানায়, বন্দর এলাকার একবালপুর, ভূকৈলাস রোড এবং মোমিনপুরের অন্তত ১৭টি জায়গায় থেকে নগদ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৩০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত সালাউদ্দিন সিদ্দিকির বাড়ি থেকে। জাকির হোসেন এবং টিপু নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে বাকি টাকা। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্র এবং নথিপত্র। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে অভিযুক্তদের বাড়িতে।

প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের ধারণা, নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর জন্য ওই টাকা সংগ্রহ করছিল অভিযুক্তেরা। সন্দেহভাজনদের সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বোমা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনার সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্তদের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে অভিযুক্তদের সম্ভাব্য যোগাযোগের দিকটিও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

এনআইএ-র বিরুদ্ধে এ দিন পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশও। তাঁদের অভিযোগ, তল্লাশিতে নেমে এনআইএ-র জওয়ানেরা বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে যথেচ্ছ মারধর করার পাশাপাশি নথি খোঁজার নামে তছনছ করেছে ঘরের আসবাবপত্র। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, এ দিন সকালে এনআইএ-র কর্মীরা ওই এলাকায় গেলে তাঁদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কিছু বাসিন্দা। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে কেন, তা নিয়ে শুরু হয় বাদানুবাদ। অক্টোবরের গোড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল একবালপুরের বিভিন্ন এলাকা। জখম হন বেশ কয়েক জন। পাঁচটি মামলা করে গ্রেফতার করা হয় ৬৮ জনকে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সেই পাঁচ মামলার মধ্যে একটির তদন্তভার নেয় এনআইএ।

Ekbalpur NIA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy