Advertisement
E-Paper

সম্পত্তি হাতাতে বোন ও তাঁর স্বামীকে খুন, পুলিশের জালে দাদা-সহ ৩

ওই ঘটনায় দেবনাথ কোনাই এবং সোমনাথ মণ্ডল নামে দুই পরিচারককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪০
ভারী জিনিস দিয়ে পূর্ণেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাকে আঘাত করা হয়।

ভারী জিনিস দিয়ে পূর্ণেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাকে আঘাত করা হয়।

প্রায় ৪১ দিন পর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বীরভূমের লাভপুরে দম্পতি খুনের কিনারা করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, সম্পত্তি হাতাতে বোন এবং তাঁর স্বামীকে খুন করেছিল দাদা। মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর মহকুমা আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বীরভূমের লাভপুরের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে নিজের বাড়িতে নৃশংস ভাবে খুন হন বৃদ্ধ দম্পতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। তারা ভারী জিনিস দিয়ে পূর্ণেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাকে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। খুনের তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও। তা সত্ত্বেও হত্যাকারীদের কোনও সূত্র মেলেনি।

আরও পড়ুন: ৮ বছরের ছেলেকে রাস্তায় আছাড় মুর্শিদাবাদে, স্পষ্ট সিসিটিভি ফুটেজে

পুলিশ সুত্রে খবর, ব্রাহ্মণপাড়ায় স্বপ্নার পৈতৃক বাড়ি। সেই বাড়ি নিজে দখল করতেই স্বপ্না এবং তাঁর স্বামীকে খুনের ছক কষে তাঁরই দাদা মুকুল মুখোপাধ্যায়। মুকুল জামালপুরের বাসিন্দা। বাড়ি এবং পুকুর হাতাতে গ্রামেরই দু’জনকে কাজে লাগায় মুকুল। তারা ওই বাড়িতেই পরিচারকের কাজ করত।

পুলিশের আরও দাবি, মুকুলের ফোনের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের কিনারা হয়েছে। তার রেকর্ডও পুলিশের হাতে রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ওই ঘটনায় দেবনাথ কোনাই এবং সোমনাথ মণ্ডল নামে দুই পরিচারককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মুকুল জামালপুরে রেলকোয়ার্টারে থাকত। তাকে উঠে যাওয়ার জন্য বার বার নোটিস দিচ্ছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই মুকুল খুনের চক্রান্ত করে বলে পুলিশের দাবি।

Birbhum murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy