E-Paper

আজ থেকে শুরু মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের প্রশিক্ষণ

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর, ব‍্যাঙ্ক-এলআইসি থেকে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের নিয়োগ করেছে কমিশন। একটি বিধানসভা এলাকায় একজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং ১০ জন করে এইআরও শুনানি করবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১৮

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নথি যাচাইকে অগ্রাধিকারে রেখেই মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের প্রশিক্ষণ-পরিকল্পনা করল নির্বাচন কমিশন। আজ, বুধবার প্রায় ৪৬০০ মাইক্রো অবজার্ভারের প্রশিক্ষণ হবে। তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল, রাজ্যের বিশেষ রোল-পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। কমিশনের কয়েকজন প্রতিনিধিও থাকতে পারেন প্রশিক্ষণে। অন্য দিকে, আগামী ৫ জানুয়ারি দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাতে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও থাকবেন অন্য দু’জন নির্বাচন কমিশনার।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর, ব‍্যাঙ্ক-এলআইসি থেকে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের নিয়োগ করেছে কমিশন। একটি বিধানসভা এলাকায় একজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং ১০ জন করে এইআরও শুনানি করবেন। প্রতিটি শুনানি পর্বে হাজির থাকবেন এই মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরা। শুনানির দেখভাল ছাড়াও, তাঁরা দেখবেন ভোটারদের দাখিল করা নথির বৈধতাও। ফলে সেই গুরুদায়িত্ব কী ভাবে তাঁরা পালন করবেন, তা-ই বোঝানো হবে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের।

জানা যাচ্ছে, এতদিন ধরে এসআইআর পর্ব কী ভাবে চলেছে, কী ধরনের ত্রুটি ধরা পড়েছে, ফাঁকফোকর বোজাতে কমিশনের পরিকল্পনা ইত্যাদি সবই জানানো হবে তাঁদের। এসআইআরের দ্বিতীয় পর্বে নথি-প্রমাণ খুবই জরুরি। এই পর্বেই একজন ভোটারের যোগ্যতা স্থির হবে ইআরও বা এইআরও-দের হাত ধরে। ফলে সেখানে যাতে কোনও গরমিল না হয়, তা দেখতে হবে। আবার এসআইআরের শুরু থেকে রাজ্যে নথির চাহিদা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেই পদ্ধতিতে অসাধু উপায়ে কোনও নথি হাতে এবং শুনানি ব‍্যবস্থায় চলে আসছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।

অন্য দিকে, ৫ জানুয়ারির বৈঠকে সিইও ছাড়াও থাকার কথা কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলির কর্তাদের। জানা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে এটাই প্রথম প্রস্তুতি বৈঠক হতে চলেছে। ফলে এ রাজ্যের পুলিশের নোডাল অফিসারকেও ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে নিরাপত্তা মোতায়েন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু করে দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সিইও দফতর সূত্রের খবর। একই সঙ্গে চলছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের আবেদনের কাজ। এ কাজে বিএলও-রা বসছেন বুথে বুথে। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিদিন এমন কোন গোত্রে কত আবেদন তাঁরা পাচ্ছেন, তার তালিকা সেই বুথে টাঙিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি, নাম ভুলের ঘটনাগুলিকে সংশোধন করার কাজ চলছে সমান্তরালে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission of India Special Intensive Revision Micro Observer

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy