রাজ্যের কয়েক হাজার বুথে এখনও নেই ‘বুথ লেভেল অফিসার’ (বিএলও)। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৮৪২৮ বুথে বিএলও পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিএলও নিয়োগের কাজ শেষ করতে সক্রিয় হয়েছে কমিশন।
বুথ স্তরে ভোটার তালিকা সংশোধনে বিএলও-দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা তালিকায় নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন। বর্তমানে রাজ্যে ৮০ হাজার ৬৮১টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ৮৪২৮ বুথে বুথে কোনও বিএলও না থাকায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন (এসআইআর)-এর কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, সব চেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে বর্তমানে ৯৭৫টি বুথে কোনও বিএলও নেই। সবচেয়ে কম শূন্যপদ রয়েছে তার পড়শি জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে। মাত্র চারটি বুথে। রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বুথের সংখ্যা সব চেয়ে। ওই জেলায় ৮৮৫৯টি বুথের মধ্যে ৩৯৯টি বুথে কোনও বিএলও নেই। নেই, হুগলির ৮৬৭, পূর্ব বর্ধমানের ৮১৩, হাওড়ার ৭২৬, উত্তর ২৪ পরগনার ৬৬৯ বুথে। এমনকি, কলকাতার ৬২৪ বুথে বিএলও নিয়োগ বাকি রয়েছে। আবার মালদহ (ছ’টি), জলপাইগুড়ি (আটটি), ঝাড়গ্রামের (১৬টি) মতো জেলার শূন্যপদ তুলনামূলক কম।
বিএলও নিয়োগ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলে সোমবার জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সিইও দফতর সূত্রে খবর, বিএলও পদে অনেক বদল ঘটেছে। দ্রুত বিএলও নিয়োগের কাজ শেষ করা হবে। অনেক বুথের পুরনোদের বাদ দিতে নতুন বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকে বিএলও হিসাবে কাজ করতে ইচ্ছুক নন। সব মিলিয়ে ৮৪২৮টি বুথে বিএলও নিয়োগ বাকি রয়েছে। তবে এর ফলে ভোটারদের কোনও অসুবিধা হবে না বলে দাবি সিইও দফতরের। সাধারণত বিএলও হিসাবে ন্যূনতম গ্রুপ-সি কর্মচারীদের নিয়োগ করে কমিশন। কোনও বুথে ওই ধরনের কর্মচারী থাকলে তাঁকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।