বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির কৃতিত্ব বিজ্ঞানের। প্রতীকী ছবি।
বজ্র থেকে বিদ্যুতের কলাকৃতি প্রকৃতির। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির কৃতিত্ব বিজ্ঞানের। দিনে এক থেকে তিন টন বর্জ্য পোড়াতে পারে ‘এয়ার প্লাজ়মা ইনসিনারেটর’ নামক সেই প্রযুক্তি। পুড়িয়ে নিঃশেষ করার বদলে তা থেকে শক্তি উৎপাদন করে সে। এবং এ ভাবেই কঠিন বর্জ্য নিয়ে পুর-প্রশাসনের মাথাব্যথার সুরাহা করার ক্ষমতা ধরে ওই প্রযুক্তি। পরমাণু শক্তি মন্ত্রকের অধীন ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভিইসিসি)-এর উদ্ভাবিত সেই নতুন প্রযুক্তি শুক্রবার তুলে দেওয়া হল কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে।
ভিইসিসি জানিয়েছে, আপাতত তারা সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী চারটি প্রযুক্তি বিভিন্ন সংস্থাকে দিচ্ছে, যাতে সেগুলি বৃহত্তর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। ভিইসিসি-র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখা এই ধরনের ২৫টি প্রযুক্তি তৈরি করেছে বলে তাদের দাবি। তার মধ্যে ‘এয়ার প্লাজ়মা ইনসিনারেটর’ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী হবে। তাই এর সঙ্গে স্বচ্ছ ভারত মিশনও জুড়ে গিয়েছে।
এ দিন ওই প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিইসিসি এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (বার্ক)-এর শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বার্ক সূত্রের খবর, ‘এয়ার প্লাজ়মা ইনসিনারেটর’-এ দিনে এক থেকে তিন টন পর্যন্ত বর্জ্য পোড়ানো সম্ভব। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কঠিন বর্জ্য পুড়িয়ে উচ্চ তাপশক্তি উৎপাদনও সম্ভব। পুরসভা, হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা তো বটেই, বড় মাপের আবাসনেও এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy