—ফাইল চিত্র।
গরুপাচারের অভিযোগে সদ্য গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল হক। অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ২১ দিন তাঁকে বাড়িতেই থাকতে বলেছে সিবিআই। এনামুলের অতীতের অপরাধ রেকর্ড চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু মাস খানেক হয়ে গেলেও এনামুলের অপরাধের নথি সিবিআইকে এখনও রাজ্য দেয়নি বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। রাজ্য পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, অপরাধের নথিপত্র কী আছে তা দেখার জন্য নবান্ন থেকে সিআইডিকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। সে সব পাওয়া গেলে জবাব দেওয়া হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর, পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন কয়েক জন আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। মালদহ-মুর্শিদাবাদ এলাকায় গত চার-পাঁচ বছরে কাজ করে আসা ওই অফিসারদের তালিকা দেখে বাছাই করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের তদন্তে রাজ্য পুলিশের কয়েক জন অফিসারের সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগের জোরাল ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্তে পাচারের অভিযোগে যুক্তদের অপরাধের পরিসংখ্যান দিতে রাজ্য পুলিশের ‘ঢিলেমি’ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে তারা। ২০১৮তে বিএসএফ অফিসার জিবু ম্যাথু গ্রেফতারের পর বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন এনামুল। তখন তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। কিন্তু মালদহের সীমান্ত দিয়ে তাঁকে এ দেশে ঢুকতে রাজ্য পুলিশের কোনও কোনও অফিসার সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
এনামুলের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি। অথচ সরকারি ভাবে রাজ্য পুলিশ তা সিবিআইয়ের তুলে দিচ্ছে না। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এনামুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ থাকলে সাত দিনের মধ্যে তিনি কী ভাবে কলকাতা পুলিশের থেকে বন্দুকের লাইসেন্স পেয়েছিলেন? কোন প্রভাবশালী কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে এনামুলের বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য তদ্বির করেছিলেন?
রাজ্য পুলিশের ওই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ থেকে এনামুল কবে কী ভাবে কোন সীমান্ত দিয়ে এসেছিলেন তা পাসপোর্ট পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে। তা দেখা তদন্তকারীদের কাজ। রাজ্য পুলিশ সব সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy