ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা।—ফাইল চিত্র।
ডেপুটি স্পিকার পদে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাকে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাগত জানাল। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আদিবাসী প্রতিনিধি সুকুমারবাবুকে বিধানসভার এই সাংবিধানিক পদের দায়িত্ব দেওয়াকে জঙ্গলমহলের প্রতি সরকার পক্ষের সুবিচার বলে শুক্রবার বিধানসভায় মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও পরিষদীয় দলনেতা দিলীপ ঘোষ। প্রধান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বললেন, ‘‘সুকুমারবাবু পদলোভী নন। অনেকে বলাবলি করছেন, আদিবাসী কোটায় উনি ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন। এটা বললে ওঁকে অসম্মানিত করা হয়। নিজের যোগ্যতাতেই উনি ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন।’’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুকুমারবাবুকে ডেপুটি স্পিকার পদে মেনে নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সুকুমারবাবুর মতো বলিষ্ঠ রাজনীতিককে এই পদে প্রার্থী করা হয়েছে শুনে আমরা কেউ প্রার্থী দিতে চাইনি। সর্বসম্মতভাবে ওঁকে মেনে নিয়েছি আমরা।’’
কিছুদিন আগে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার হায়দর হাজিজ সফির মৃত্যুতে এই পদ ফাঁকা হয়। তার পরে সরকার পক্ষের তরফে জঙ্গলমহলের আদিবাসী প্রতিনিধি সুকুমারবাবুকে ডেপুটি স্পিকার পদে প্রার্থী করার পরে বিরোধীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যায়নি। সর্বসম্মতভাবে নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরে এ দিন বিধানসভার রীতি মেনে আব্দুল মান্নান এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুকুমারবাবুকে তাঁর বিধায়কের আসন থেকে হাত ধরে নিয়ে গিয়ে বসান ডেপুটি স্পিকারের আসনে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডেপুটি স্পিকার হওয়ার পরে সুকুমারবাবু বিরোধীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, ‘‘এই প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে ডেপুটি স্পিকার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy