—প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত তদন্তে পার্থ সম্পর্কে আরও ‘বিস্ফোরক’ তথ্য দেওয়া হবে বলে হাই কোর্টে জানিয়েছিল সিবিআই। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। তবে হাই কোর্টের এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে এ দিন কর্মবিরতি ছিল। তাই সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। আজ, মঙ্গলবার তা জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের।
রিপোর্ট জমা না-দিলেও সিবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য সোমবার আদালতে জানান, পার্থ এই দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁর সচিব নানা তথ্য মুছে ফেলেছেন। কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে তাঁর সচিব কী কী তথ্য মুছে ফেলেছেন, তা মঙ্গলবারের রিপোর্টে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হবে। প্রাথমিক দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নামও এসেছে। সিবিআইয়ের কৌঁসুলি দাবি করেছেন যে পার্থের দফতরে মানিকের নিবিড় যোগাযোগ ছিল।
গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে সোমবার সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে। এ দিন ছিল ১১ সেপ্টেম্বর। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের দিন। সেই হিসেবেই এ রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতির আয়তন বোঝাতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উচ্চতার সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন সিবিআই কৌঁসুলি। এ দিন অবশ্য তিনি টেনেছেন স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ। বলেছেন, ‘‘এ দিন শুধু ধ্বংসের নয়। এ দিনই স্বামীজি শিকাগো ধর্ম মহাসম্মেলনে বক্তৃতা করেছিলেন। তাই তদন্তে সত্য সামনে আসবে।’’
তবে সিবিআইয়ের শুধু কথায় এ দিন পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘আপনাদের তো কিছু একটা করতে হবে। এমনিতেই এই মামলা দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় তদন্তের গতি ধীর হয়েছে। শেষমেশ কী হয় তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy