মধ্যমণি: খেলোয়াড়দের সম্মাননা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীরা আগেই স্বাস্থ্য সাথীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। এ বার রাজ্যের প্রাক্তন খেলোয়াড়দেরও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিশিষ্ট খেলোয়াড়দের সম্মাননা এবং বিভিন্ন ক্লাবে খেলাধুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে একটি অনুষ্ঠান ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে বলেন, ‘‘খেলোয়াড়েরা দেশের গর্ব। কিন্তু বয়স হয়ে গেলে কেউ ওঁদের খোঁজ রাখেন না। আমি চাই, বিনা পয়সায় চিকিৎসা করানোর জন্য প্রাক্তন খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আনা হোক।’’ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকেই ক্রীড়া দফতরের সচিব এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
প্রাক্তন ফুটবল তারকা সুব্রত ভট্টাচার্য পরে বলেন, ‘‘প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সরকারি চিকিৎসার আওতায় আনার নজির দেশের কোথাও নেই।’’ এ দিন খেল সম্মান, বাংলার গৌরব, ক্রীড়াগুরু, বিশেষ সম্মান এবং জীবন কৃতী সম্মান দেওয়া হয় খেলোয়াড়দের। মমতা ক্ষমতায় আসার পরেই সরকারি তালিকাভুক্ত ক্লাবগুলিকে খেলার পরিকাঠামো
গড়ে তোলার জন্য দু’লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া শুরু হয়। পরের বছর ওই ক্লাবগুলিকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ৫৩৬টি ক্লাবকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৪৩০০ ক্লাবের প্রতিটিকে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মমতা জানান, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে ক্রীড়া দফতরের বাজেট ছিল ৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূল আসার পরে সেই বাজেট ছ’গুণ বাড়িয়ে ৪৭৭ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাবকে অনুদান বাবদ ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। ‘‘খেলাকে অবহেলা করা যাবে না। খেলা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দেশের গৌরব বাড়ায়,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাবগুলির কাছে তাঁর প্রত্যাশা, কোনও ঘৃণা বা বিদ্বেষ নয়, এলাকায় নজর রাখতে হবে। ভাল কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার সময়ে আমি দেখেছি, খেলার উন্নয়নের জন্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়া, স্কুল তৈরি করা খুব জরুরি। মেধা যাতে কোনও ভাবেই আটকে না-যায়, তা ভাল করে দেখার জন্য মন্ত্রী অরূপবাবুকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা।
সরকারের ভাঁড়ারে টানাটানির জন্য এ দিনও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ঋণ শোধ করতে হচ্ছে। এ বছর ৪৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এ বার ৩০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে নবম থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। জন্ম থেকে মৃত্যু— সব কিছুতেই সরকারি সাহায্য দিচ্ছি আমরা। কী ভাবে চালাচ্ছি, তা আমি জানি,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy