Advertisement
E-Paper

পরীক্ষার্থী ৪০০, কলেজে প্রশ্নপত্র পৌঁছল ৯৫০টি!

এ বার পরীক্ষার্থীর তুলনায় অনেক বেশি প্রশ্নপত্র পৌঁছে গেল কলকাতারই একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৬

একটি বিষয় বা একটি পত্রের পরীক্ষার দিন অন্য বিষয় বা অন্য পত্রের প্রশ্ন পাঠানোর মতো বিভ্রাট আগে ঘটেছে। এ বার পরীক্ষার্থীর তুলনায় অনেক বেশি প্রশ্নপত্র পৌঁছে গেল কলকাতারই একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে! পরীক্ষার্থী চারশোর কম। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে সাড়ে ন’‌শোর বেশি!

সোমবার এই আজব কাণ্ড ঘটেছে মহানগরের একটি কলেজের স্নাতক স্তরের ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং’–এর প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষায়। এ দিনই সময়সীমা শেষের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোর্টালে সমস্যা থাকায় স্নাতকের পড়ুয়াদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর পাঠাতে পারল না বহু কলেজ। চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেল নতুন বিতর্ক।

কলকাতার ওই কলেজের অধ্যক্ষ জানান, এ দিন পরীক্ষা শুরুর পরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে দেখা যায়, প্রশ্নপত্র আছে সাড়ে ন’‌শোরও বেশি। কিন্তু পরীক্ষার্থী তো চারশোরও কম! দ্রুত খবর দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ওই প্রশ্নপত্র ফেরত নেয়নি। শিক্ষা শিবিরের

বক্তব্য, এতে এটা পরিষ্কার যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে চালাতে পারছেন না। ভুল করে বাড়তি প্রশ্নপত্র পৌঁছে যাওয়াটা অবাঞ্ছিত নিশ্চয়ই। তার থেকেও চিন্তার কথা, অন্য কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট ভুল করে ওই কলেজে পৌঁছে যায়নি তো? সেটা হয়ে থাকলে অসুবিধায় পড়তে পারেন অন্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। তার পরে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাতেও এ ধরনের বিভ্রান্তি ঘটতে থাকায় কলেজগুলিও উদ্বিগ্ন। তার উপরে পড়ুয়াদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর (যার মধ্যে হাজিরার জন্য বরাদ্দ নম্বর রয়েছে) বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে পারছেন না বহু কলেজ-কর্তৃপক্ষ। একটি কলেজের অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘পোর্টাল খুললেই দেখা যাচ্ছে, গোলমাল! কিছুতেই নম্বর জমা দেওয়া গেল না। তার মধ্যেই ছুটি পড়ে গেল।’’ মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত বলেন ‘‘তিন দিন ধরে চেষ্টা করেও কমার্সের পড়ুয়াদের নম্বর পোর্টালে দিতেই পারলাম না। নতুন তারিখ দিলে নম্বর জানাব।’’ বক্তব্য জানতে পরীক্ষা নিয়ামক জয়ন্ত সিংহের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। তিনি ফোন তোলেননি। জবাব দেননি টেক্সট মেসেজেরও।

Education Examination Calcutta University Choice based credit system CBCS Financial Accounting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy