পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের কোনও খোঁজ রবিবারেও পায়নি পরিবার। তবে, বিএসএফের একটি দল এ দিন রিষড়ায় পূর্ণমের বাড়িতে আসায় তাঁরা কিছুটা ভরসা পেয়েছেন বলে জানান। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী জানান, রবিবার না বেরিয়ে আজ, সোমবার বিমানে স্বামীর কর্মস্থল পঞ্জাবের পঠানকোটে যাবেন তিনি।
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রজনী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক ধকল যথাসম্ভব এড়াতেই ট্রেনের বদলে বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে রবিবার সন্ধ্যায় ট্রেনে যাবেন বলে ঠিক ছিল। আজ রজনীর সঙ্গে আট বছরের ছেলে, দুই বোন এবং খুড়তুতো ভাই যাবেন। কলকাতা থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের বিমানে প্রথমে চণ্ডীগড়ে যাবেন তাঁরা। সেখান থেকে গাড়িতে পঠানকোট।
রজনী বলেন, “পঠানকোটে যদি কোনও সহযোগিতা না পাই, তা হলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাব।” এ দিনও পূর্ণমের বাড়িতে যান রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র। পঞ্জাবে যাওয়ার বিমানের টিকিটের ব্যাপারে তিনি তদারকি করেন।
গত বুধবার দুপুরে ভুল করে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ঢুকে পড়ায় সে দেশের রেঞ্জার্স পূর্ণমকে বন্দি করে। তার পর থেকেই রিষড়ায় তাঁর বাড়ির লোকের দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়। এই পরিস্থিতিতে নদিয়ার কল্যাণীর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ ১০ জন জওয়ান সোমবার পূর্ণমের বাড়ি এসে তাঁর বাবা, মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে ফল-মিষ্টি এনেছিলেন তাঁরা। ছিলেন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। পরিবারের দাবি, কল্যাণী থেকে দলটি পঠানকোটের বিএসএফ কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এসেছিল। আধিকারিকেরা মনোবল ধরে রাখা এবং ভরসা রাখার পরামর্শ দেন। পূর্ণম শীঘ্রই ফিরবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন। রজনী বলেন, “ওঁরা আসার পরে আমরা কিছুটা ভরসা পেয়েছি। মনে হচ্ছে, ভাল কিছু খবর আসবে। ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব রকমের চেষ্টা চলছে।”
আগে বিএসএফের তরফে ফোনে সাউ পরিবারকে জানানো হয়েছিল, পূর্ণমকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার এ বিষয়ে বিএসএফের ডিজি দলজিৎ চৌধরির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)