প্রতীকী ছবি।
কলেজ ভর্তির মেধাতালিকায় বারবার সানি লিওনির নাম থাকার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বহু কলেজে একই আবেদনকারী একাধিকবার একই বিষয়ে আবেদন করেছেন। মেধাতালিকায় তাঁরা অনেকেই বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন। একই বিষয়ে একজন ১৮ বার আবেদন করেছেন - এমন ঘটনাও ঘটেছে।
রাজ্যে এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হচ্ছে। আবেদন ফি কিছু দিতে হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কলেজগুলির মেধাতালিকা খতিয়ে দেখলেই দেখা যাচ্ছে বহু আবেদনকারী একাধিকবার আবেদন করেছেন। আবেদন পর্ব শেষ হওয়ার পর অনেক অধ্যক্ষই জানিয়েছিলেন, এ বছর আবেদনের সংখ্যা গত বছরের থেকে দ্বিগুন বা বেশি। আপাতত অতিরিক্ত নাম বাদ দিয়ে মেধাতালিকাকে আগাছা-মুক্ত করছে কলেজগুলি।
নাম বিভ্রান্তির আড়ালে কি রয়েছে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভুল, এমন প্রশ্নও উঠছে। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এই ঘটনা শুধুমাত্র আবেদনের জন্য কোন ফি দিতে হচ্ছে না বলে ঘটছে, তা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে মেধাতালিকা ঘেঁটে দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে মেধাতালিকা দখল করে রাখা হচ্ছে। পরে ওই সব নাম সরিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হবে। অবশ্য অধ্যক্ষদের মতে, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে হয়। এরকম করার সুযোগ এখন নেই।
নিউ আলিপুর কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে মেধাতালিকায় একই আবেদনকারীর একাধিক বার নাম রয়েছে। অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্সের এক আবেদনকারীর নাম এবং তার প্রাপ্ত নম্বর ১৮ বার মেধাতালিকায় দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অন্যান্য আবেদনকারীরা যাতে সুবিচার পায় সেদিকে নজর দিচ্ছি। আবেদন ফি কিছু দিতে হচ্ছে না বলে একের পর এক আবেদন করে গিয়েছে।’’ লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার জানিয়েছেন, পার্সি বিষয়ে আবেদন বড় একটা জমা পরে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৩টি আবেদনের মধ্যে প্রথম তিনটি এক জনই করে বসে আছেন। ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা-সহ অন্যান্য বিষয়েও একাধিকবার একই আবেদনকারীর নাম। অগড়িয়া দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে প্রায় প্রতি বিষয়ে রয়েছে একই আবেদনকারীর একাধিক নাম। অধ্যক্ষ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, এ রাজ্যে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া গুরুত্ব দিয়ে বোঝার অবকাশ রয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, প্রতিটি আবেদনকারী সুবিচার পাবে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সাংবাদিকতা অনার্সের তালিকায় এক আবেদনকারীর নাম দশবার উল্লেখ করা হয়েছে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সংস্কৃত পড়তে ১৬০ জন আবেদন করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে অর্ধেক আবেদনকারী বারবার আবেদন করেছেন। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানান, তাঁর কলেজে আসন সংখ্যা আড়াই হাজার। এ বার আবেদন জমা পড়ে ৫৬ হাজার। গতবার যেখানে আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত নাম সব কেটে ফেলতে হবে। কোনও আবেদনকারী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy