সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার উত্তর কাশীপুর থানা এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ১৯। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ভাঙড়ে পুলিশের উপরে আক্রমণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবারই ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বুধবার উত্তর কাশীপুর এবং হাতিশালা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মোট সাত জনকে। এ ছাড়া, বেশ কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, অবৈধ জমায়েত, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ভাঙড়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। সোমবার কলকাতার রামলীলা ময়দানেও এ নিয়ে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে ভাঙড়ের শোনপুরে বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছে পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকায়। এলাকা জুড়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ, এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের অন্তত পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইট মেরে ভাঙা হয়েছে কলকাতা পুলিশের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে প্রিজ়ন ভ্যানেও। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর থেকেই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, শোনপুরের অশান্তির ঘটনা নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নামে উত্তর কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।