রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি। অমিত শাহের সভা মিটতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কাঁথির বিভিন্ন এলাকা। সভাস্থল থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হল বিজেপির অনেকগুলি বাস ও গাড়ি। দুরমুঠে আক্রান্ত হল তৃণমূলের পার্টি অফিসও। বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই— দিল্লি থেকে তোপ বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের। ‘‘আমাদের দিকে বিজেপি ইট-বোমা ছুড়লে আমরা নিশ্চয়ই ওদের রসগোল্লা খাওয়াব না,’’ মন্তব্য তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর।
কাঁথির রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দিন জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শেষ হওয়া মাত্রই বাংলায় তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে বলে অমিত শাহ মন্তব্য করেন। অমিত শাহের ভাষণের সেই উত্তাপ সভা শেষ হতেই মিলিয়ে গেল না। বরং অমিত শাহ কাঁথি ছাড়তেই আরও উত্তপ্ত হল এলাকা।
বিজেপির অভিযোগ, সভাস্থল থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল হামলা চালিয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের গাড়িতে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন যে, সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি কর্মীরা যে সব বাস বা গাড়িতে করে ফিরছিলেন, পথ আটকে সেগুলিতে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, কর্মীদের মারধর করেছে বলেও দিলীপের দাবি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, হেড়িয়ার কাছে বিজেপির বাসের ভিতরে ঢুকে মহিলাদের উপরে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।