পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের নিয়ে নাজেহাল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশ। এই দেশগুলির সঙ্গে সাধারণ ভাবে পাকিস্তানের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভিক্ষুকদের নিয়ে সমস্যা বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি, সম্প্রতি কয়েক হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষুককে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সৌদি। এ বিষয়ে নিয়মে ক়ড়াক়ড়ি করেছে দুবাইও। এমনকি, পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের নিয়ে ‘পরম বন্ধু’ আজ়ারবাইজানেরও অস্বস্তি রয়েছে।
পাকিস্তানের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) পরিসংখ্যান বলছে, শুধু চলতি বছরেই ২৪ হাজার ভিক্ষুককে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, দুবাই থেকে ছ’হাজার এবং আজ়ারবাইজান থেকে আড়াই হাজার পাকিস্তানিকে ফেরানো হয়েছে। অধিকাংশই ভিক্ষুক। অভিযোগ, বিদেশে গিয়ে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এই ভিক্ষুকেরা। মূলত ধর্মীয় স্থানের সামনে তাঁরা ভিক্ষাপাত্র পেতে বসেন। তার পর বিদেশি পর্যটকদের নানা ভাবে হেনস্থা করেন। তাদের সামলাতে গিয়ে প্রশাসন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালে ভিক্ষুক সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সতর্ক করেছিল সৌদি আরব। বলা হয়েছিল, উমরাহ্ ভিসা ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ মক্কা ও মদিনায় আসছেন এবং ভিক্ষা করছেন। এ ভাবে উমরাহ্ ভিসার অপব্যবহার করা হচ্ছে। তা যাতে না করা হয়, নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল ইসলামাবাদকে। অন্যথায় পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
ভিক্ষুকচক্র সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তানও। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরে তারা ৬৬ হাজার যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে আটকেছে। সৌদি বা অন্য কোনও দেশে ভিক্ষার উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এফআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল রিফাত মুখতার মেনে নিয়েছেন, এই ভিক্ষুকচক্রের কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের সম্মানহানি ঘটছে। শুধু সৌদি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা আজ়ারবাইজান নয়, ভিক্ষুকচক্রের জাল তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে প়়ড়েছে।