বিধানসভা নির্বাচন আর কয়েক মাস পরেই। তার মধ্যেই বলাগড়ের রাজনীতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। শুভেন্দু অধিকারীর সভার পাল্টা হিসেবে বলাগড়ের মাজদিয়া একতারপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা হয় বুধবার। সেখানে আমন্ত্রণ পাননি স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মনোরঞ্জন।
মনোরঞ্জন সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘আমি উপভোক্তা এবং সমবায় কমিটির টুরে নদিয়ায় আছি। আগে থেকে জানানো হলে সরকারি কমিটির সফর বাতিল করে সভায় পৌঁছোনোর চেষ্টা করতাম।’’ তবে নিজের পোস্টে সভা সফল হওয়ার প্রশংসা করে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন বিধায়ক। তার পরেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ভোটের মুখে দলের কর্মসূচি থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার বিষয়টি কি বড় কোনও ইঙ্গিত! আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কি টিকিট পাবেন না বিধায়ক, সেই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এর আগে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ নিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড়ের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বুথ স্তরের এজেন্ট বা বিএলএ-দের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিপোর্ট দিতে। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, বলাগড়ের বিধায়ক স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, যা শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে বলাগড় বিধানসভা দেখতে বলে দল। ব্লক সভাপতি ও নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের বিবাদের কারণে বলাগড় ব্লকে কাউকে সভাপতি না করে কোর কমিটি করে দেওয়া হয়। এ বার বলাগড়ে দলীয় সভায় ডাক পেলেন না স্থানীয় বিধায়ক।