Advertisement
E-Paper

হবে টেক্সটাইল হাব, শুরু হল জমি বাছাই 

কুটির শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “টেক্সটাইল এক্সপোর্ট হাবের জন্য শান্তিপুর এবং ফুলিয়ার দুই জায়গায় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সেখানে কাজ শুরু হবে।”

সম্রাট চন্দ

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শান্তিপুর থানা এলাকায় তৈরি হবে টেক্সটাইল এক্সপোর্ট হাব। এর জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “টেক্সটাইল এক্সপোর্ট হাবের জন্য শান্তিপুর এবং ফুলিয়ার দুই জায়গায় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সেখানে কাজ শুরু হবে।”

শান্তিপুর এবং ফুলিয়া এলাকায় বহু তন্তুজীবী মানুষের বাস। তাঁতশিল্পের উপরে এখানকার লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল। তাঁত বোনা থেকে শুরু করে সুতো রং করা—নানা ভাবে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত এই এলাকার পরিবারগুলি।

এই সমস্ত এলাকা থেকে তাঁতশিল্পীদের উৎপাদিত শাড়ি বিদেশেও পাড়ি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের নানা দেশেও রফতানি হয় এখানকার শাড়ি। সেই শান্তিপুর থানা এলাকায় টেক্সটাইল এক্সপোর্ট হাব তৈরিতে এবার উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

সম্প্রতি নদিয়ায় প্রশাসনিক সফরে এসে এই কাজ দ্রুত শেষ করতে বলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “প্রশাসনিক সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রীই বলে যান এখানে টেক্সটাইল এক্সপোর্ট হাবের কথা। সেই মতোই কাজ করা চলছে। জমি চিহ্নিতকরণ হলেই প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” একইসঙ্গে এখানে হাব তৈরি হলে বিদেশে শাড়ি রফতানির কাজ আরও ভাল ভাবে করা যাবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এই হাবে বিশেষ ভাবে দক্ষ তাঁতশিল্পীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কাপড়ের নকশার উপরেও জোর দেওয়া হবে। আধুনিক মানের নকশা এবং বিদেশে রফতানির জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক নকশার সঙ্গে সংগতি রেখে যাতে শাড়ি উৎপাদন করা যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হবে। তাঁর ওপরেই জোর দেওয়া হবে এখানে।

এই এলাকার তাঁতের কাপড়কে বিশ্বের কাছে আরও আধুনিক ভাবে উপস্থাপনার উপরেই মূলত জোর দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং সুতো রঙের উপরেও জোর দেওয়া হবে জানা গিয়েছে।

শান্তিপুর থানা তাঁতবস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তারক দাস বলেন, “এখানে এই এক্সপোর্ট হাব তৈরি হলে তাঁতশিল্পীরা উপকৃত হবেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। শাড়ি এখনও রফতানি হয় বিদেশে। কিন্তু হাব হলে সেখান থেকে রফতানির কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে।’’

তিনি জানান, অনেকে রফতানির নিয়মকানুনের জটিলতায় আটকে যান। আবার, অনেকের ইচ্ছা থাকলেও নিজস্ব পরিকাঠামো না থাকার কারণে তা করতে পারেন না। সরকারি এই হাব তৈরি হলে সে সব সমস্যা থাকবে না। আরও অনেক তাঁতশিল্পী এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলেই তাঁর আশা।

Textile Hub Textile Export Shantipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy