Advertisement
E-Paper

নিয়ম শিথিল, হাওড়ায় শুরু বাজিবাজার

নিয়ম কিছুটা শিথিল করেই হাওড়ায় চালু হচ্ছে বাজিবাজার। বাজি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ মেনে নিয়ে বাড়ানো হয়েছে কেনাবেচার সময়ও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিয়ম কিছুটা শিথিল করেই হাওড়ায় চালু হচ্ছে বাজিবাজার। বাজি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ মেনে নিয়ে বাড়ানো হয়েছে কেনাবেচার সময়ও।

প্রশাসন সূত্রের খবর, অনুমতির পর্ব মিটিয়ে আজ, মঙ্গলবার থেকে পুরো দমে বালির দেশবন্ধু ক্লাব, ডুমুরজলা হকি ময়দান ও গোলাবাড়িতে ঘাসবাগান ময়দানে বাজিবাজার চালু হবে। এ বছর হাওড়াতেও বাজিবাজার হবে বলে গত শনিবার ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। এর পরে সোমবার সকাল থেকেই বাজি বিক্রির জন্য অনুমতি নিতে ভিড় জমান বাজি বিক্রেতারা। কিন্তু ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স না থাকলে আদৌ সেই অনুমতি মিলবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় ধন্দ। পাশাপাশি, বিক্রিবাটা করার সময় নিয়েও আপত্তি জানান ওই ব্যবসায়ীদের একাংশ।

এ দিন সকালে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী ডুমুরজলায় বাজিবাজারের সূচনা করতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেন বাজি বিক্রেতারা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে রথীনবাবু জানান যে, পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসন আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই মতো এ দিন বিকেলে জেলা প্রশাসন, সিটি পুলিশ ও পুরসভার কর্তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে সমস্ত বিক্রেতা আগে আসবেন সেই ভিত্তিতে বাজিবাজারেই মিলবে পুলিশের ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেট। পুরসভার তরফে ট্রেড লাইসেন্স এবং জেলা শাসকের দফতরের তরফে অনুমতিও মিলবে সেখানে। এ দিন যাঁরা অনুমতি নিতে এসেছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে নেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কোন জায়গায় কত দিনের জন্য বাজি বিক্রি করা যাবে, তা একমুখী জানালা নীতিতে যে ট্রেড লাইসেন্স ও অনুমতিপত্রে উল্লেখ করা থাকবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাজিবাজারে কেনাবেচা করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সব জায়গাতেই এখনও পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এ বিষয়ে এ দিন বালিতে বাজিবাজারের সূচনা করতে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বলেন, ‘‘যে কোনও সুষ্ঠু পরিকাঠামো তৈরি করতে সময় লাগে। শনিবার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি স্টল ও অন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে পুরসভা।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, বাজি বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া ছাড়াও পুরসভার পরিকাঠামো ব্যবহারের জন্য ফি দিতে হবে বিক্রেতাদের। পুরসভার তরফে পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে সব স্টল তৈরি করা হচ্ছে। তবে শুধু স্টল বানানোই নয়, সেখানে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাজারে পানীয় জল, সাফাই ব্যবস্থা সবই রাখা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাজারে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে মোতায়েন করা হবে সাদা পোশাকের পুলিশ।

Firecrackers Howrah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy