Advertisement
E-Paper

চলতি মাসেই শিলিগুড়ির পানীয় জলের সমস্যা আংশিক মিটবে, আশ্বাস দিলেন ফিরহাদ-গৌতম

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে শিলিগুড়ি পুরসভার পানীয় জলে দূষণ ধরা পড়ে। ঘটনার জেরে মেয়র গৌতম ঘোষণা করেন, পুরসভার সরবরাহ করা জল পানের অযোগ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ২১:০১
Firhad Hakim and Gautam Dev meeting on the drinking water problem in Siliguri Municipal Corporation

(বাঁ দিকে) ফিরহাদ হাকিম। গৌতম দেব (ডান দিকে) । —ফাইল চিত্র।

পুরসভার পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সোমবার সন্ধ্যায় দুই মেয়রের বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভায়। বৈঠকের পর দু’জনেই জানান, শিলিগুড়ির পানীয় জলের সমস্যা আংশিক মিটতে চলেছে। শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে একটি জল প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পর্যায়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গের এই শহরে পানীয় জলের সমস্যা খানিকটা মিটে যাবে বলেই মনে করছেন ফিরহাদ এবং গৌতম। জুলাই মাসেই এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হচ্ছে।

এই জল প্রকল্পের জন্য ৫১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২১৪-২১৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে এই পর্যায়ের ‘টেকনিক্যাল ইভ্যালুয়েশন’ চলছে। এই প্রকল্পের কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র বলেন, ‘‘বামেরা এত দিন ধরে পুরসভা চালিয়েছে কিন্তু জল প্রকল্পের জন্য কোন জলাশয় বা পুকুর ছিল না। সেই জলাশয়ের কাজ আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু করব। তিন মাসের মধ্যে এই জলাশয় তৈরি হয়ে যাবে। এই কাজটা হয়ে গেলে ঘোলা জলের সমস্যা কাটিয়ে পরিস্রুত জল দেওয়া যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৪০-৪৫ বছর ধরে এই সমস্ত কাজ ফেলে রেখেছিল বামেরা। আমরা মাত্র দু’বছর ক্ষমতায় এসেছি। আমরা এই সমস্ত প্রকল্প হাতে নিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।’’

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে শিলিগুড়ি পুরসভার পানীয় জলে দূষণ ধরা পড়ে। ঘটনার জেরে মেয়র গৌতম ঘোষণা করেন, পুরসভার সরবরাহ করা জল পানের অযোগ্য। শিলিগুড়িবাসীকে ওই জল খেতে নিষেধ করা হয়। বিকল্প হিসাবে পুরসভার তরফে পানীয় জলের পাউচ বিলি করা হয়। কিছু জলের ট্যাঙ্কের মাধ্যমেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়। সেই সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মেয়র গৌতম। কলকাতায় শিলিগুড়ির পানীয় জলের নমুনা পাঠানো হয়েছিল রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে। দফতরের রিপোর্টে বলা হয়, শিলিগুড়ির পানীয় জল দূষিত। অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কম। যা থেকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এই জল অন্য কাজে ব্যবহার করুন। পান করবেন না। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শিলিগুড়ি পুরসভার জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার না করার ঘোষণা করেছিলেন গৌতম।

সোমবার তিনি জানিয়েছেন, জল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে শিলিগুড়ির মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি মহানন্দার ধারে ছ’কিলোমিটার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) তৈরি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এই প্রকল্পের কাজ করবে কেএমডিএ। শিলিগুড়ি পুরসভা এই কাজে হাত দিলেও পিছিয়ে আসতে হয় তাদের। এ বার এই কাজ হাত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ সংস্থা।

Siliguri Municipal Corporation Water crisis Siliguri FirhadHakim Gautam Deb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy