কুণাল ঘোষ (বাঁ দিকে) এবং ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা নিয়ে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই নিয়েই রাজ্য প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র জানালেন, কুণাল কী বলেছেন, তা তিনি জানেন না। রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও ফিরহাদের বক্তব্য, তিনি এই বিষয়ে কথা বলার ‘অথরিটি’ নন। সরকারই সরকারের বিষয়ে কথা বলবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
কুণালের হাই কোর্ট সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শনিবার ফিরহাদ বলেন, “কুণাল কী বলেছে জানি না। সরকার সরকারের বিষয়ে কথা বলবে। আমি এ বিষয়ে কথা বলার অথরিটি নই।” তাঁর এই ‘অথরিটি নই’ বার্তাকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
শুক্রবারই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া কথা শুনিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে এই সভার বিষয়ে আপত্তি জানানো হলেও উচ্চ আদালতে তা ধোপে টেকেনি। তার পর ওই দিন বিকেলেই এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, ‘‘দলের সৈনিক হিসেবে আমি মনে করি, ২১ জুলাই ওখানে (ধর্মতলা) সভা করার অধিকার তৃণমূলের রয়েছে। আবার নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটা দল করলে বাকিরা করবে না কেন? আদালত তো আইনের চোখেই দেখছে।’’ কুণাল এ-ও মনে করেন এর ফলে ‘চার আনার’ বিজেপি ‘১২ আনার’ প্রচার পেয়ে গেল। তাদের সেই প্রচারটা পাইয়ে দেওয়া হল। কুণালের তোপে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরামর্শদাতা’রা, যাঁদের জন্যই সরকারকে রোজ বেইজ্জত হতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy