দুই শিল্পী অন্বয় চক্রবর্তী এবং অন্বেষ কাঞ্জিলাল। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
ছ’য়ের দশকের ইংরেজি লোকসঙ্গীত ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস বাংলায় গেয়েছে দুই কিশোর। তাদের একজনের বয়স ৮। আরেকজনের ১৫। সেই গান আর তার বাংলা অনুবাদ নেটাগরিকদের মন জিতে নিয়েছে।
বাংলায় এর আগে ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস গানটি ব্যবহার করেছিলেন অঞ্জন দত্ত। তবে তিনি নিজের গাওয়া বাংলা গানের মাঝে ইংরেজিতেই গেয়েছিলেন ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস গানটি। এই গানটি তেমন নয়। একে বরং ফাইভ হান্ড্রেড মাইলসের বাংলা অনুবাদ বলা যায়। গানের শুরুটা হয় এভাবে—‘‘অকারণে যদি ট্রেন করো মিস, আমারে পাবা না তুমি হারগিস, ট্রেনের বাঁশি ছাড়ায়ে যায় একশো মাইল। একশো মাইল.. একশো মাইল.. একশো মাইল.. একশো মাইল.. ট্রেনের বাঁশি ছাড়ায়ে যায় একশো মাইল..’’
দুই শিল্পীর নাম অন্বয় চক্রবর্তী এবং অন্বেষ কাঞ্জিলাল। তারা সম্পর্কে তুতো ভাই। তাদের ব্যান্ডের নাম ‘উদলা গা’। অর্থাৎ খালি গা। ইউটিউবের ভিডিয়োতেও দুই শিল্পীকে খালি গায়েই গান গাইতে দেখা যায়। জামা দু’টো তাদের মাথায় ফেট্টি করে বাধা। গানটি যিনি রেকর্ড করেছেন, সেই অরিন্দম চক্রবর্তী অন্বয়ের বাবা। অরিন্দম জানিয়েছেন, গানটির বাংলা বাণী লিখেছেন তাঁর ভাই। পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তিনি সেটি বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই বাণী দেখার পরই তা দিয়ে গান গাওয়ানোর কথা মনে হয় তাঁর।
অরিন্দমের কথায়, ‘‘দুই ভাই-ই গান গাইতে ভালবাসে। অন্বেষ উকুলেলে বাজাতে জানে। ওদেরকে বলতেই ওরা রাজি হয়ে যায়। ওদের ভিডিয়ো রেকর্ড করার আগে বিশেষ কিছু ভাবিনি। পুরো ব্যাপারটা হঠাৎই হয়ে গেছে।’’
১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় অন্বয় আর অন্বেষের গাওয়া গানটি অবশ্য চলতি বাংলায় গাওয়া হয়নি। বরং কিছুটা পূর্ববঙ্গের ভাষার টান মেশানো হয়েছে তাতে। অরিন্দম বলেছেন, ‘‘গানটি রেকর্ড করে রাখার সেটাও একটা কারণ। আমার মনে হয়েছিল, বাংলার এই ভাষাটার কথা ওদেরও মনে রাখা দরকার। বড় হয়ে যখন ওরা এটা শুনবে তখন এই ভাষার অস্তিত্ব ওদের মনে পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy