Advertisement
E-Paper

‘স্বচ্ছতা’র স্বার্থে ফুড কুপনে বারকোড

দফতরের দাবি, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পদ্ধতিকে জটিলতা মুক্ত আর দ্রুত করতেই বারকোডের সংস্থান করা হল।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফুড কুপনও কি দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়ছে! তা না হলে কেন সেখানে বারকোডের ব্যবস্থা করতে হল খাদ্য দফতরকে। অভিযোগ, একাধিক ফুড কুপনের মালিক থেকে যাচ্ছেন একই গ্রাহক। যদিও দফতরের দাবি, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পদ্ধতিকে জটিলতা মুক্ত আর দ্রুত করতেই বারকোডের সংস্থান করা হল।

আবেদন গ্রাহ্য হওয়ার ফলে রেশন কার্ড হাতে পাওয়ার কথা গ্রাহকদের। কিন্তু অতিমারির পরিস্থিতিতে ছাপানো ডিজিটাল রেশন কার্ড বাড়িতে পৌঁছে দিতে সমস্যায় পড়ছে পোস্ট অফিস। তাই ওইসব কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যসাথী ফুড কুপনের ব্যবস্থা করেছে খাদ্য দফতর। কোনও ক্ষেত্রে খাদ্যসাথী স্পেশ্যাল কুপনের ব্যবস্থা হয়েছিল। এ বার থেকে ওইসব কুপনেও বারকোড থাকবে। যা ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল (ই-পস)-এর অর্ন্তভুক্ত হবে। দফতরের ব্যাখ্যার সঙ্গেই আধিকারিকদের অনেকের মতে, ‘‘একই লোক দুটি কুপন নিয়ে আসছেন। বারকোড থাকলে তা করা সম্ভব হবে না।’’ পাশাপাশি, দফতরের যুক্তি, একটি বারকোডের মাধ্যমেই একটি পরিবারের সকল সদস্যের নামও সেখানে থাকবে। আর এই কুপন ছাপানো হয়ে যাওয়ার পরে তা এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীর কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে তা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন তাঁরা। এই কুপনের প্রেক্ষিতে দু’কেজি চাল এবং তিন কেজি গম আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত পাবেন গ্রাহকরা। ফলে কেউ খাদ্যসামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না বলে দাবি রাজ্য সরকারের।

এ দিকে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতাধীন গমের মান অনেক জায়গাতেই খুব খারাপ। এমনকি, পোকাও রয়েছে। ধুলোও রয়েছে। যা আমগ্রাহক নিতে অস্বীকার করতে পারে বলেও আশঙ্কা করে দফতরকে চিঠি দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।

Food Department Food Coupon Barcode Scam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy