হুগলির মোহনা সংলগ্ন স্যান্ড হেড থেকে কলকাতা তথা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের ডকে পৌঁছতে প্রায় ২৩২ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা নদীপথ পেরোতে হয় বিদেশি জাহাজগুলিকে। সতর্ক ভাবে নির্দিষ্ট পথ ধরে জাহাজ শুধু দিনের বেলাতেই বন্দরের কাছে আনা যায়। পাইলট ভেসেল ব্যবহার করে ওই কাজ হয়। রাতে জাহাজ নিরাপদ স্থানে নোঙর করে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
সময় নষ্ট হওয়া কমাতে বছর কয়েক আগে নাইট নেভিগেশন প্রযুক্তি চালুর উদ্যোগ নেয় কলকাতা বন্দর। ওই পদ্ধতিতে কোনও জাহাজ ঢুকলে তাকে পাইলট ব্যবহার করে বন্দরে আনার পরিবর্তে অ্যাপের মাধ্যমে পথ নির্দেশ (নেভিগেশন) দেওয়া হয়। সম্প্রতি বজবজ থেকে স্যান্ড হেড পর্যন্ত নদীর নীচের দিকের অংশে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফলে বন্দরে দিনে ও রাতে জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারছে।
চেন্নাই আইআইটি, কলকাতা বন্দরের সমুদ্র বিভাগ (মেরিন) এবং একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ওই প্রযুক্তি চালু হয়েছে। বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দর থেকেও প্রযুক্তিগত সাহায্য মিলেছে। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন ও ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহী একে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য মনে করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)