Advertisement
E-Paper

উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের কাঠই কি নদীতে ভেসে বাংলাদেশে গেল? ‘লাল চন্দন’ হিসাবে ও পারে বিকোচ্ছে লাখ লাখ টাকায়

টানা বর্ষণে কয়েক দিন আগে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল কোচবিহারের তোর্সা, কালজানি নদী।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০১
বাংলাদেশের নদীতে ভেসে এল প্রচুর গাছের গুঁড়ি, কাঠ।

বাংলাদেশের নদীতে ভেসে এল প্রচুর গাছের গুঁড়ি, কাঠ। ছবি: সংগৃহীত।

জঙ্গলের কাঠ নদীর স্রোতে ভেসে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেই কাঠ কিনতে হিড়়িক ও পার বাংলায়। বিকোচ্ছেও লাখ লাখ টাকায়!

টানা বর্ষণে কয়েক দিন আগে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল কোচবিহারের তোর্সা, কালজানি নদী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত কালজানি নদীতে ভেসেই ও পারে চলে গিয়েছে গাছের গুঁড়ি, কাঠ। কালজানি বাংলাদেশেও রয়েছে। সে দেশে এই নদী দু’ভাগে বিভক্ত। একটি কালজানি নামেই পরিচিত। অন্য ভাগটির নাম দুধকুমার। এই নদীতে ভেসেই এ পারের জঙ্গলের কাঠ পৌঁছে গিয়েছে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায়।

বুধবার কুড়িগ্রামের বাজারেই লাল চন্দন হিসাবে বিকোল নদীতে ভেসে আসা গাছের গুঁড়ি, কাঠ। ওই জেলার অন্তর্গত দামাল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘‘চার জন মিলে প্রায় ৫০ ফুট লম্বা একটা লালচে গাছ তুলেছেন নদী থেকে। দেখতে একেবারে চন্দন কাঠের মতো। এর দাম চাওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা। খরিদ্দার পেলে কিছু কমবেশি করে বিক্রি করে দেব।” কোথাও কোথাও আবার এক একটি কাঠের গুঁড়ি ২০-৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ছোট ছোট গুঁড়িগুলি আবার জ্বালানি কাঠ হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে।

কোচবিহারের অতিরিক্ত বনাধিকারিক (এডিএফও) বিজনকুমার নাথ অবশ্য বলেন, ‘‘যে কাঠগুলো ভেসে গিয়েছে, সেগুলো কোচবিহার ফরেস্ট ডিভিশনের নয়। দেখে যা বুঝেছি, সেগুলো পাহাড়ি প্রজাতির গাছ। পাইন প্রজাতির গাছের বড় বড় লক। আর এই ধরনের গাছের বড় বড় লক ভুটানেই পাওয়া যায়। আমাদের এ দিকের জঙ্গলের কাঠ নয়। লাল চন্দন তো কখনওই নয়।’’

Bangladesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy