E-Paper

‘মাদক পাচার করায় ডিজিটাল গ্রেফতার’, ২৫ লক্ষ হাতাল জালিয়াতেরা

সৌভিক শিকদার নামে প্রতারিত যুবক পর্ণশ্রী থানার পাশাপাশি ডিভিশনের সাইবার শাখাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ০৯:৩৪
দু’দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে রেখে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতেরা।

দু’দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে রেখে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতেরা। —প্রতীকী চিত্র।

‘কুরিয়র পরিষেবা ব্যবহার করে তিনি মাদক পাচার করেছেন। সেই মাদক আটক করা হয়েছে মুম্বইয়ে।’ এক যুবকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে, তাঁকে ফোন করে তদন্তের নামে দু’দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে রেখে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতেরা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী থানা এলাকায়। সৌভিক শিকদার নামে প্রতারিত ওই যুবক পর্ণশ্রী থানার পাশাপাশি ডিভিশনের সাইবার শাখাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সৌভিক একটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মী। লিখিত অভিযোগে ওই যুবক জানান, ১৮ মে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। বলা হয়, একটি কুরিয়র সংস্থা থেকে ফোন করা হয়েছে। এর পরে সৌভিকের আধার নম্বর-সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্য তাঁকে জানানো হয়। ওই যুবকের কথায়, ‘‘ফোনে প্রথমে আমার আধার নম্বর বলা হয়। এর পরে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানায়, আমার নামে একটি পার্সেল আছে। প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিইনি। পরে মুম্বই সাইবার ক্রাইমের অফিসার পরিচয় দিয়ে আবার ফোন আসে।’’

সৌভিক জানান, দ্বিতীয় বারের ফোনে তাঁর নামে থাকা পার্সেলে মাদক মিলেছে বলে জানায় এক ব্যক্তি। সে মুম্বই সাইবার ক্রাইমের কর্তা বলে পরিচয় দিয়েছিল। সৌভিকের নামে এই অভিযোগও করা হয় যে, তাঁর আধার নম্বর ব্যবহার করে এই মাদকের কারবার চলেছে। তাই তাঁকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।

সৌভিক পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি। এর পরে বিভিন্ন পুলিশকর্তার নাম করে তাঁকে দফায় দফায় ফোন করতে থাকে প্রতারকেরা। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে তাঁকে কলকাতার কোনও একটি হোটেলে চলে যেতে বলা হয়। সেই মতো পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে চলে যান সৌভিক। ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। সৌভিক বলেন, ‘‘ওই সময়ের মধ্যে বার বার ফোন করে বলা হচ্ছিল, আমার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে একাধিক বার টাকা পাঠাতেও বলা হয়। আমি কয়েক দফায় ২৫ লক্ষ টাকা পাঠাই।’’

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সাত দফায় দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পাঠান সৌভিক। পরবর্তী কালে প্রতারকেরা আরও টাকা দাবি করলে তিনি বন্ধুদের শরণাপন্ন হন। তখনই সৌভিক বুঝতে পারেন, তিনি আদতে সাইবার জালিয়াতির ফাঁদে পড়েছেন।

এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই রাজ্য থেকে জালিয়াতি করা হয়েছিল, না কি ভিন্‌ রাজ্য থেকে, তা-ও আমরা দেখছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cyber fraud Parnashree

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy