প্রতীকী ছবি।
সারা দেশে দু’হাজার স্টেশনে এসক্যালেটর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও টাকার অভাবে পিছিয়ে গিয়েছে রেল। এ বার চলতি বছরের মধ্যে দেশের সব স্টেশনকে ওয়াইফাই পরিষেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা রূপায়ণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তার মূলে আছে সেই অর্থাভাব। তবে সেটা ওয়াইফাই পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার।
লোকসভা নির্বাচন পরের বছরেই। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, কমবেশি আট হাজার স্টেশনকে চলতি বছরেই ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনার আওতায় আনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল রেল। কিন্তু বিপুল সংখ্যক স্টেশনে এক বারে ওই পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো তৈরির খরচের বহর দেখে অধিকাংশ সংস্থাই পিছিয়ে যাচ্ছে। ফলে কয়েক মাসে অন্তত দশ বার দরপত্র খোলার দিন পিছিয়ে দিতে হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, চলতি বছরে ওই পরিকল্পনা রূপায়ণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দেশের প্রথম সারির ৪০০টি স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা দেয় গুগ্ল। কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে ওই পরিষেবার পরিকাঠামো গড়েছে তারা। সেই পরিকল্পনার সাফল্য দেখে অন্যান্য স্টেশনে তা দিতে উদ্যোগী হয় রেল। কিন্তু পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির একাংশের মতে, কমবেশি আট হাজার স্টেশনের মধ্যে বড়জোর আড়াই হাজার স্টেশনে পর্যাপ্ত যাত্রী যাতায়াত করেন। অন্য স্টেশনগুলিতে যাত্রী খুব কম। সব জায়গায় একসঙ্গে পরিকাঠামো নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। কোনও সংস্থার পক্ষেই একক ভাবে তা করা সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে এই কাজ করাই যুক্তিযুক্ত।
আরও পড়ুন: শিকড়েই একাকার রোনাল্ডো আর মীরপুর
এক রেলকর্তা বলেন, বিষয়টি শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক নয়। সব স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা মিললে বহু মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের আওতায় আনা যাবে। তাতে পরিষেবা ক্ষেত্রের প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি এর্নাকুলাম স্টেশনের কর্মী কে শ্রীনাথের কেরল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার উদাহরণ দিয়ে ওই কর্তা জানান, সুলভে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পেলে আরও অনেকের সামনে এমন সাফল্যের দরজা খুলে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy