শুধু বেসরকারি স্কুল নয়, সরকারি স্কুলগুলিও এত দিন আলাদা আলাদা ফি নিত। প্রথমে ঘরেই শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনতে সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণিতে ফি বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ পর্বে বেঁধে দেওয়া হল বিভিন্ন স্কুলের আসন-সংখ্যাও।
শিক্ষা দফতরের খবর, সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণিতে বছরে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা ফি নেওয়া হতো। এ বার ঠিক হয়েছে, যে-সব বিষয়ের পঠনপাঠনে গবেষণাগার ব্যবহার করতে হয় না, সে-ক্ষেত্রে বার্ষিক মোট ফি হবে ২৫০ টাকা। আর গবেষণাগার ব্যবহার করলে ফি ২৯৫ টাকা। সরকারি নির্দেশ অনুসারে এ বার থেকে সব স্কুলই বেঁধে দেওয়া ফি নিতে বাধ্য হবে।
স্কুলশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, বেসরকারি স্কুলগুলির বর্ধিত ফি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই অসন্তুষ্ট। আপাতত সরকারি স্কুলগুলিতে বর্ধিত ফি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সব সরকারি স্কুলেই ভর্তির ন্যূনতম নম্বর অভিন্ন। কোন সরকারি স্কুলে কী কী বিষয় নিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে, সেটাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ভর্তির ফর্ম বিনা খরচে ডাউনলোড করা যাবে স্কুলশিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইট থেকে। স্কুলেও ফর্ম মিলবে। স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, কোন সরকারি স্কুলে কোন কোন বিষয়ের পঠনপাঠন হয়, কিছু দিন আগেই তার তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তৈরি হয়েছে ‘সাবজেক্ট কম্বিনেশন’। কম্বিনেশনের বাইরে অন্য বিষয় নেওয়া যাবে না।
ভর্তির নিয়মাবলি ও ফর্ম শুক্রবার স্কুলশিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আজ, শনিবার প্রকাশিত হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এর পরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ফর্ম জমা দেওয়া যাবে ৬ জুন পর্যন্ত। সব স্কুলকে ১৩ জুন মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ভর্তি চলবে ১৪ থেকে ১৬ জুন।
সরকারি স্কুলে ভর্তিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘এর ফলে পড়ুয়ারা নিখরচায় সহজে ভর্তির ফর্ম তুলতে পারবে। ফি বেঁধে দেওয়ায় পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy