উৎসবের মধ্যেই বাজারে প্রথম শেয়ার ছাড়ল (আইপিও) গণেশ কনজ়িউমার প্রডাক্টস লিমিটেড। তারা যে শেয়ার ছাড়বে, তা আগেই ঘোষণা করেছিল কলকাতার এই সংস্থা। সেই মতো সোমবার থেকে আইপিও ছাড়ল তারা। আগামী বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাজার থেকে গণেশের শেয়ার কিনতে পারবেন লগ্নিকারীরা।
প্রতি শেয়ারের দাম কত রাখা হয়েছে, তা-ও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। লগ্নিকারীদের জন্য গণেশের প্রতি শেয়ারের জন্য প্রাইস ব্যান্ড রাখা হয়েছে ৩০৬ টাকা থেকে ৩২২ টাকা। লগ্নিকারীরা ন্যূনতম ৪৬টি শেয়ার কিনতে পারবেন। সংস্থার মতে, ওই ৪৬টি শেয়ার নিয়ে তৈরি হবে আইপিও লট, যা কেনার জন্য লগ্নিকারীকে ব্যয় করতে হবে ন্যূনতম ১৪,০৭৬ টাকা। ২৪ তারিখের পর আর শেয়ার কেনা যাবে না। মাসের শেষে গণেশের শেয়ারগুলি বম্বে স্টক মার্কেট এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হবে।
বর্তমানে গণেশের কাছে ৩,৬৩,৭৩,২৫৯টি ইকুইটি শেয়ার রয়েছে। তার মধ্যে ৮,৬৫৮,৩৩৩টি ইকুইটি শেয়ার বিক্রি করে দিতে চলেছে তারা। কেন শেয়ার ছাড়ছে এই সংস্থা? ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রথম বার বাজারে শেয়ার ছেড়ে ১৩০ কোটি টাকা তুলতে চায় গণেশ। ওই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হবে, তা-ও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই অর্থের মধ্যে ৬০ কোটি টাকা নির্দিষ্ট কিছু ঋণ পরিশোধ করার জন্য ব্যবহার হবে। আর ৪৫ কোটি টাকা দিয়ে দার্জিলিঙে একটি নতুন ইউনিট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার।
আটা, ময়দা, সুজি, ছাতু, ডালিয়া, বেসনের মতো নানাবিধ পণ্যের সম্ভার রয়েছে ‘গণেশ’ ব্র্যান্ডের ছাতার তলায়। ২০০০ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা হয়। ধীরে ধীরে এই কোম্পানি তার ব্যবসার পরিধি বিস্তার করে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে গমজাত নানা প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে গণেশ কনজ়িউমার প্রডাক্টস লিমিটেড। ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও এই সংস্থার ইউনিট তৈরি করতে চান কর্তৃপক্ষ। ব্যবসার পরিধি দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ে বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছেন তারা।