শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ওই পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর থেকেই ওই যুবক নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচকের ঘরিয়ালচক গ্রামে।
শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনাটি বিচারাধীন। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ওই ছাত্রী কালিয়াচকেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তার বাবা পেশায় গাড়ি চালক। মঙ্গলবার দুপুর দু’টো নাগাদ সাইকেল নিয়ে পাশের গ্রামে টিউশনে যাচ্ছিল সে। অভিযোগ, সেই সময় আজগর তার পথ আটকায় ও শ্লীলতাহানি করে। ওই ছাত্রী বাধা দেওয়ায় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। বাসিন্দারাই তাকে উদ্ধার করে সীলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই রাতেই কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। তার ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy