Advertisement
E-Paper

মন্ত্রীকে আটকে রেখেছিস! নিগ্রহ মেয়েদের

শুক্রবার যাদবপুরের ক্যাম্পাসে মিছিলে শামিল হওয়ার আগে সেই ছাত্রী বলছিলেন, ‘‘নোংরা কথা বলে অত সহজে আমাদের দমাতে পারবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৮
অশান্তি: এক ছাত্রের সঙ্গে বচসা বাবুল সুপ্রিয়ের। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

অশান্তি: এক ছাত্রের সঙ্গে বচসা বাবুল সুপ্রিয়ের। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

মন্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময়ে তাঁর কিছু মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যাদবপুরের ছাত্রীরা। এর পরে বাংলা এমএ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ও বাবুল সুপ্রিয়ের ছবি প্রচার করে অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগও উঠেছে নেট-পাড়ায়।
শুক্রবার যাদবপুরের ক্যাম্পাসে মিছিলে শামিল হওয়ার আগে সেই ছাত্রী বলছিলেন, ‘‘নোংরা কথা বলে অত সহজে আমাদের দমাতে পারবে না। ওই সব কুৎসিত কথার প্রচারই বলে দিচ্ছে, মেয়েদের ওঁরা কী চোখে দেখেন।’’ বৃহস্পতিবার বাবুলের ক্যাম্পাসে উপস্থিতি, পড়ুয়া বিক্ষোভ, এবং ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ইত্যাদির ঘটনাক্রমের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিশানা করে অভব্যতার অভিযোগও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এ দিন ভরসন্ধ্যায় দু’জন ছাত্রী (তাঁদের মধ্যে এক জন যাদবপুরের নন) এইট বি মোড়ে হামলার মুখে পড়েন বলে যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানান। ‘তোরা মন্ত্রীকে আটকে রেখেছিস’ বলে তাঁদের কান ধরে ক্ষমা চাইতে বলা হয় এবং ভিডিয়ো তোলা হয় বলে অভিযোগ। যাদবপুর এলাকায় অফিস থেকে ফেরার সময়ে আর এক তরুণীকেও ‘দুর্বৃত্তে’রা চুলের মুঠি ধরে নিগ্রহ করেন বলে তিনি ফেসবুকে সরব হয়েছেন। থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান বলে তিনি জানিয়েছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশিয়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার নিগ্রহের খবর সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে জানাজানির পরে কিছু ক্ষণ তাঁর খোঁজ পাচ্ছিলেন না কেউই। ফলে, তাঁর নাম প্রকাশ না-করে বিষয়টি নিয়ে সজাগ করার চেষ্টা করেন যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষিকা। শুক্রবার দুপুরে সেই ছাত্রী বলছিলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এইট বি মোড়ের এটিএমে টাকা তোলার পরে মহিলা ও পুরুষের একটি দল মিলে ঘিরে ধরে ক্ষমা চা’ বলে আমাদের ফোন কেড়ে হেনস্থা করল। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছিল। ভয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ি। তার পরে এক বন্ধুর বাড়িতে যাই। রাতে বন্ধুর বাবা বাড়ি পৌঁছে দেন। ওরা যে হেতু আমাদের ছবি তুলে ভিডিয়ো করেছে, তাই নিরাপত্তার কথা ভেবেই যাদবপুর থানার পুলিশকে সব অভিযোগ লিখে জানিয়েছি। পুলিশ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।’’
যাদবপুর এলাকার ভাড়ার ঘরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে লরেটো কলেজের ইংরিজি অনার্সের এক ছাত্রীও থাকেন। সেই সন্ধ্যায় তিনিও এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। দু’টি মেয়ের অভিভাবকই কলকাতার বাইরে থাকেন। যাদবপুরের ছাত্রীটি এ দিন বলছিলেন, ‘‘আমি কোনও দল করি না। তবে ব্যক্তিগত ভাবে বিজেপি-বিরোধী। কিন্তু বিকেলের পরে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানের ওখানে আমি যাইওনি!’’ হেনস্থার খবর পেয়ে ছাত্রী দু’টির বান্ধবী— প্রেসিডেন্সি, শ্রী শিক্ষায়তন, লরেটোর আরও ক’জন ছাত্রী গিয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে।

Jadavpura University Students Heckled
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy