Advertisement
E-Paper

মোদী, গুরুঙ্গের বৈঠক চাইছে মোর্চা

তাই এ বার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতেই আজ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক বসেন গোর্খা নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৪:০৮

গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়াতে এ বার দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা নিলেন গোর্খা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। সেই বৈঠকের রূপরেখা ঠিক করতে আজ পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্রসিংহ অহলুওয়ালার সঙ্গে দেখা করেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। মোর্চা সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি কেন্দ্রের নজর কাড়তে ১ অগস্ট দিল্লিতে পাহাড়ের পরবর্তী সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে মোর্চা।

গত এক মাস ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বন্‌ধে অচল পাহাড়। ইতিমধ্যেই জুন মাসে একবার অহলুওয়ালিয়ার মধ্যস্থতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রোশন গিরিরা। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। তাই এ বার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতেই আজ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক বসেন গোর্খা নেতারা।

যে ভাবে শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র, তাতে বেশ হতাশ গোর্খা নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আজ নিজেদের সেই অসন্তোষের কথা অহলুওয়ালিয়াকে জানিয়েছেন রোশনরা। তাঁদের বক্তব্য, শুধু লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনই নয়, বিধানসভা ভোটেও তাদের সহযোগী দল হিসেবেই লড়েছে মোর্চা। এমনকী, ডুয়ার্সে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমন্ত্রিতও ছিলেন গুরুঙ্গ। তা হলে এখন কেন্দ্র তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেন?

বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় হলেও প্রয়োজনে এবং রাজ্য চাইলে আধাসেনা পাঠিয়ে সাহায্য করতে পারে কেন্দ্র।
রোশনদের এই ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এ দিন সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহিরও। তিনি আরও বলেন, ‘‘গত ১২ জুন থেকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট শুরু হয়েছে দার্জিলিঙে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ হিংসা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে।’’ এই নিয়ে কেন্দ্রকে কবে কবে রাজ্য রিপোর্ট দিয়েছে, তারও হিসেব দেন তিনি।

বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূল এর পরেও অভিযোগ তুলেছে, পাহাড়ে গোলমালে উস্কানির পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ পর্যন্ত বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। আমরা তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে রাজ্যকে সাহায্যই করেছি।’’

Darjeeling Unrest GJM Gorkhaland Bimal Gurung Narendra Modi নরেন্দ্র মোদী বিমল গুরুঙ্গ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy