Advertisement
E-Paper

চিঠি পেয়েছি, জবাব পাইনি, মুখ্যমন্ত্রীকে লিখলেন রাজ্যপাল

আমপানের তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে রাজ্যের পরিস্থিতি এখন যে রকম, তাতে রাজ্যপালের এ দিনের চিঠির বয়ান কিছুটা নরম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২০ ২১:৩৬
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়।

চিঠি তিনি পেয়েছেন, কিন্তু সব প্রশ্নের জবাব পাননি। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে রিপোর্ট পাওয়া বাকি। মুখ্যমন্ত্রীকে লিখলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠিটি লিখেছেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড বসানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি যে দু’টি চিঠি লিখেছিলেন, তার জবাবে গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পৌঁছয় রাজভবনে। আজ সে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেও রাজ্যপাল লিখেছেন, ওই একই বিষয়ে যে তৃতীয় চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন, সেটি সম্ভবত গুরুত্ব পায়নি।

গত ৬ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল যে, কলকাতা পুরসভার কাজ দেখভালের জন্য পুরসভার উপরে প্রশাসক বোর্ড বসানো হচ্ছে। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতেই ওই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের কথা রাজভবনকে কেন জানানো হল না, সে প্রশ্ন তুলে পরের দিন অর্থাৎ ৭ মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। জবাব না পেয়ে ১৪ মে ফের চিঠি লেখেন। ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং কার নির্দেশে ওই সিদ্ধান্ত, তা-ও রাজ্যপাল জানতে চেয়েছিলেন সে চিঠিতে।

সেই চিঠির জবাবেই যে ২০ মে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি রাজভবনে পৌঁছেছে, রাজ্যপালের এ দিনের চিঠিতে তার উল্লেখ রয়েছে। তবে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত কার নির্দেশে এবং ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে যা তিনি জানতে চেয়েছিলেন, তার জবাব তিনি পাননি। রাজ্যপাল এ দিন এমনই লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
তবে আমপানের (প্রকৃত উচ্চারণে উম পুন) তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে রাজ্যের পরিস্থিতি এখন যে রকম, তাতে রাজ্যপালের এ দিনের চিঠির বয়ান কিছুটা নরম। বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে পত্রযুদ্ধের আঁচ যে রকম চরমে পৌঁছচ্ছিল, এ চিঠির বয়ানে সে রকম ঝাঁঝ নেই।

মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো রাজ্যপালের চিঠি।

আরও পড়ুন: ত্রাণ-পুনর্গঠনে হাজার কোটি ঘোষণা মমতার, বেহিসেবি খরচে কড়া নিষেধ

রাজ্যপাল ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেছেন এ দিনের চিঠিতে। আমপান যে রকম ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এবং জনসাধারণ যে রকম যন্ত্রণা ভোগ করছেন, তাতে সবার এগিয়ে আসা উচিত এবং যে যেমন ভাবে পারেন, তেমন ভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে রাজ্যপাল লিখেছেন। তার সঙ্গেই রাজ্যপালের বক্তব্য— আমপানের জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও একটা রিপোর্ট তিনি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে আশা করছেন, যাতে সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি (রাজ্যপাল) নিজের তরফ থেকেও ‘যথোপযুক্ত পদক্ষেপ’ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ‘চাষের জমি গিলেছে নোনা জল, আমপানের পর ফিরে দেখি বাড়িটাও নেই’

Mamata Banerjee Jagdeep Dhankhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy