Advertisement
২৩ মে ২০২৪
Rabindra Bharati University

প্রাক্তন বিচারপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য পদেও বসালেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস

প্রাক্তন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের নিয়োগের আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য ছিলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দু’মাস বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন ছিল।

An image of Subhro Kamal Mukherjee and Governor CV Anand Bose

(বাঁ দিকে) কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ০১:২৬
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোট আগামী শনিবার। তার তিন দিন আগে বুধবার রাজভবনের তরফে জানানো হল, ‘শান্তি ও সামাজিক সংহতি কমিটি’ গঠন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই কমিটির নেতৃত্বে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য পদেও বসিয়েছে রাজভবন। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রাক্তন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের নিয়োগের আগে রবীন্দ্রভারতীতে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য ছিলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দু’মাস বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন ছিল। প্রাক্তন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রাজ্যপাল সেই অনুরোধ মেনে নিয়ে নির্মাল্যকে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন। নির্মাল্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রাক্তন বিচারপতি মুখোপাধ্যায় হলেন রবীন্দ্রভারতীর নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পাশ করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়। ২০০০ সাল থেকে তিনি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৬ সালে তাঁকে কর্নাটক হাই কোর্টের স্থায়ী প্রধান বিচারপতি করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে স্থায়ী উপাচার্য নেই। উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে তাই ঝুলেই রয়েছে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভুগতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE