(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডন দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসকে সময় দেওয়া হল শনিবার। তবে কলকাতায় নয়, দার্জিলিঙের রাজভবনে। রাজভবনের তরফে সেই বার্তা পাওয়ার পরে ধর্নামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শনিবার তৃণমূলের তিন জন সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন উত্তরবঙ্গে গিয়েই। কিন্তু মূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতায় ফিরে তাঁকে দেখা করতেই হবে। এবং তা যত দিন না হচ্ছে, তত দিন তিনি ধর্না থেকে উঠবেন বলেও জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’।
অভিষেক রাজ্যপালের উদ্দেশে ধর্নামঞ্চ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি যদি মনে করেন পুজো কাটিয়ে ফিরবেন, তা হলে তা-ই হবে। সপ্তমী, অষ্টমীতে আমি একা বসে থাকব। আপনারা শুধু পাশে থাকলেই হবে।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘যে ৫০ লক্ষ মানুষ চিঠি লিখেছেন, তা কলকাতাতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দেব।’’
শনিবার তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাবেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র। অভিষেক জানিয়েছেন, সকালের বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিন জন। দেখা করেই তাঁরা ফিরে আসবেন।
অভিষেক শুক্রবার বলেন, ‘‘সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাংলায় আসছেন। দেখবেন হয়তো তিন ঘণ্টা পর বিমান ধরে আবার চলে যাবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও বাংলায় আসেন কয়েক ঘণ্টার জন্য, আবার রাজ্যপালও তাই। আর তৃণমূল মাটি কামড়ে মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে।’’
রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, অভিষেক শুক্রবার দু'টি বার্তা দিতে চাইলেন। এক, দার্জিলিঙে তিন দলীয় নেতানেত্রীকে পাঠিয়ে তৃণমূল সৌজন্যের বার্তা দিল। দুই, রাজনৈতিক লড়াইয়ের জমি ছাড়া হবে না। কলকাতায় এসে রাজ্যপাল দেখা না-করা পর্যন্ত তিনি রাজভবনের সামনের ধর্না থেকে উঠছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy