E-Paper

রাজ্যপালের আমন্ত্রণ শিশির ও দিব্যেন্দুকে

শিশির আর দিব্যেন্দু এখনও খাতায়-কলমে তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু দু’জনের বিজেপি যোগ নিয়ে সর্বদা সরব রাজ্যের শাসক দল। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪২
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল ছবি।

রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা কাঁথি কেন্দ্রের প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং ভাই তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ সোমবার বিকেলে তাঁদের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। দিব্যেন্দু একে নিছক ‘সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ’ বলে দাবি করলেও তাতে রাজনৈতিক গুঞ্জন চাপা পড়েনি।

শিশির আর দিব্যেন্দু এখনও খাতায়-কলমে তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু দু’জনের বিজেপি যোগ নিয়ে সর্বদা সরব রাজ্যের শাসক দল। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর তৃণমূলে থাকলেও প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীকে একাধিক বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। দলে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তৃণমূলে বার বার প্রশ্ন উঠেছে।

তবে তৃণমূলে নিষ্ক্রিয় থাকলেও বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে সরাসরি দেখা যায়নি দিব্যেন্দু অধিকারীকে। যদিও সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ইডি-র অফিসারদের উপর হামলার পরে নিজের উদ্বেগ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলেন দিব্যেন্দু। লোকসভা ভোটের আগে দিব্যেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে আলোচনা রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এই রকম অবস্থায় রাজ্যপালের আমন্ত্রণ জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

তার উপর রবিবার কাঁথিতে দলীয় কর্মসূচির ফাঁকে শান্তিকুঞ্জে (অধিকারীদের বাসভবন) ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এতে বাড়ির দুই সদস্য শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।

শান্তনু ঠাকুর এ দিন শান্তিকুঞ্জ থেকে বিদায় নেওয়ার পর দিব্যেন্দু সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু তাঁকে আর শিশির অধিকারীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিকেল ৪টের সময় তাঁদের যাওয়ার কথা। এটি পুরোপুরি ‘সৌজন্যমূলক’ সাক্ষাৎ।

সাংবাদিকেরা নির্দিষ্ট ভাবে জানতে চান, রাজভবনের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নাকি তাঁরা নিজেরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন? এ প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলছেন, ‘‘দুটোই হতে পারে।’’ কী কারণে এই সাক্ষাৎ? দিব্যেন্দুর কৌশলী জবাব, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বাবার সঙ্গে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাবা আর আমি তার জন্য রাজভবনে যাচ্ছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

C V Ananda Bose Sisir Adhikari Dibyendu Adhikari

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy