ক্যাম্পাসে সিআইএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর নিজস্ব বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার শ্রীনিকেতনে ৯৮ তম বার্ষিক উৎসবের (মাঘমেলা) সূচনা করার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাজ্যপাল।
বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে সিআইএসএফ মোতায়েন নিয়ে গত বছর থেকেই বিতর্ক চলছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবন বয়েজ় হস্টেলে ছাত্রদের উপরে হামলার পরে পরেই নতুন করে সিআইএসএফ নিয়োগের ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তপক্ষের মুখে। আধা সেনা ক্যাম্পাসে এলে তাঁরা প্রতিবাদ করবেন বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। মাঝে অবশ্য সিআইএসএফ প্রসঙ্গটি চাপা পড়ে গিয়েছিল। এ দিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী সিআইএসএফ চাওয়াটা তাদের নিজস্ব বিষয় । তবে সুরক্ষার বিষয়টি সর্বজনীন।’’
এ দিন সকাল ৯টায় পল্লিশিক্ষা ভবনের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেখান থেকে চলে যান শ্রীনিকেতন ফ্রেক্সো মঞ্চে। সেখানেই মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাজ্যপালকে চিরাচরিত প্রথায় বরণ করা হয়। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর পরে সঙ্গীত ও বৈদিক মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে বার্ষিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। নিজের বক্তৃতায় রাজ্যপাল বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর এ রকম একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আপ্লুত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষকদের প্রতি ভালবাসা, চিন্তা থেকেই তাঁদের জন্য ১৯২২ সালে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আমি চাই ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মেলার শতবর্ষ উদ্যাপন শুরু হোক। এবং ২০২২ পর্যন্ত নানা উৎসব আয়োজন হোক।’’
অনুষ্ঠান শেষে মাঘমেলার স্টলগুলি উপাচার্যের সঙ্গে ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে অল্প আঘাত এলেও মন খারাপ হয়ে যায় আমার।’’ বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টিকেও স্বাগত জানান রাজ্যপাল।