Advertisement
E-Paper

ভার্চুয়াল বৈঠকে নেই উপাচার্যেরা, ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

ধনখড়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন শুধু রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন্দ্রনাথ পাণ্ডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০৫:৪০
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

কয়েক দিন আগে রাজভবনে শিক্ষামন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা সচিবের দরবারের পরে পরীক্ষা-দৌত্যে সম্মতি জানিয়েছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার ফলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের ‘বাধ্যতামূলক’ পরীক্ষার কেন্দ্রীয় নির্দেশকে ঘিরে জটিলতার সুরাহা হবে বলে আশা করছিল শিক্ষা শিবির। কিন্তু তার আগে বুধবার আচার্যের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিলেন না রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যেরা। এতে তিনি যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, আচার্য তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

ধনখড়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন শুধু রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। তিনি কেন সহ-উপাচার্যকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিলেন, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে নেই। রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। এবং সেই দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যেরা যোগ না-দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আচার্য-রাজ্যপাল। আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন তিনি। জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের স্বার্থের পরিপন্থী তিনি কিছু মানবেন না। সাংবাদিক বৈঠকেই যা বলার বলবেন।

তার আগে রাজ্যপাল এ দিন টুইটারেই তাঁকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, উপাচার্যেরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজস্ব ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি মেনে কাজ করেন। প্রশাসনিক দফতর হিসেবে তাঁরা উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ নেন। শিক্ষামন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে রাজ্যপালের। ধনখড় টুইটারে লেখেন, ছাত্রস্বার্থেই উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘রাজনৈতিক খাঁচাবন্দি’ করে রাখলে ফল ভয়াবহ হতে বাধ্য। এমন ব্যবস্থা আত্মঘাতী। উপাচার্যদের কাছে আইন কি কারও ‘অঙ্গুলিহেলন’? শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে কেউ রাজনীতির খাঁচায় বন্দি নন।

আচার্যের তরফে উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক আমন্ত্রণ নিয়ে প্রথম থেকেই চাপান-উতোর চলছিল। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে সরাসরি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নতুন বিধি অনুযায়ী এই চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে উপাচার্যদের কাছে যাওয়ার কথা। তা যায়নি। রাজ্যপালকে বিষয়টি জানিয়ে দেন উপাচার্যেরা। সোমবার রাজভবন থেকে ফের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, বৈঠকে উপস্থিত না-থাকলে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। মঙ্গলবার আবার রাজভবন থেকে চিঠি পান উপাচার্যেরা। তাতে বলা হয়, ৭ জুলাই উপাচার্যদের কাছ থেকে পড়ুয়া সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন আচার্য। কিন্তু কোনও উপাচার্য উত্তর দেননি। উপাচার্যদের খুব তাড়াতাড়ি জানাতে হবে, কেন তাঁরা উত্তর দিতে পারলেন না। তার পরে আচার্য হিসেবে যা করণীয়, তিনি তা করবেন। রাজ্যপালের এ-হেন জোড়া চিঠি পেয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন উপাচার্যেরা। শেষ পর্যন্ত এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেননি তাঁরা।

Jagdeep Dhankhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy